Bangladesh

মাছের খোসা বিক্রি করে শতকোটি টাকা আয়

মাছের খোসা বিক্রি করে শতকোটি টাকা আয়

| | 07 Apr 2018, 05:49 am
ঢাকা, ৭ এপ্রিল ২০১৮ : মাছের ফেলে দেওয়া অংশ রফতানি করে বিদেশ থেকে শত কোটি টাকা আয় করছে বাংলাদেশ। চিংড়ি মাছের মাথা ও খোসা, কার্প জাতীয় মাছের আঁশ, হাঙরের লেজ-ডানা-চামড়া, কাঁকড়ার খোলস, মাছের বায়ু থলি (ফুলকা), পিত্ত ও মাছের চর্বিসহ বিভিন্ন অংশ রফতানি করা হচ্ছে বিদেশে। ইউরোপসহ পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এসব অপ্রচলিত পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ থেকে মাছের যে ফেলে দেওয়া অংশগুলো রফতানি করা হয়, তা দিয়ে স্যুপ তৈরি হয় এবং পূর্ব এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এই স্যুপের চাহিদা ব্যাপক। রফতানিকারকরা জানিয়েছেন, চিংড়ির মাথা ও খোসা, কাঁকড়ার খোলস, হাঙরের লেজ-ডানা-চামড়া, মাছের বায়ু থলি, পিত্ত ও চর্বি, কার্প জাতীয় মাছের আঁশসহ বিভিন্ন পণ্য ইতালি, জাপান, কোরিয়া, চীন, জার্মানি, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, হংকংসহ বিভিন্ন দেশে এসব পণ্য রফতানি হচ্ছে।
 

এসব অপ্রচলিত পণ্য সংগ্রহের জন্য একটি গ্রুপ রাজধানী ও সমুদ্র তীরবর্তী জেলায় কাজ করে। পটুয়াখালী, খেপুপাড়া, কক্সবাজার ও টেকনাফের বিভিন্ন বাজারের আড়ত থেকেও মাছের ফেলে দেওয়া এসব অংশ সংগ্রহ করা হয়। এসব অঞ্চলে হাঙ্গর ও হাঙ্গরের লেজ পাওয়া যায়। বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে চিংড়ি মাছের মাথা, কাঁকড়ার খোলস এবং চিংড়ি মাছের খোসা সংগ্রহ করেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।    
এগুলোর বেশিরভাগই কর্কশিটের প্যাকেট করে স্থলবন্দর দিয়ে দেশের বাইরে চলে যায়। অপ্রচলিত পণ্য বলে এগুলো বিমানে পরিবহন করা কিছুটা অসম্ভব। তবে অনেকেই বিভিন্ন প্রকার মাছের প্যাকেটে করেও এগুলো রফতানি করছেন। তবে এর সংখ্যা খুবই কম।   
 

বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, বাংলাদেশ থেকে প্রতি মাসে প্রায় ১০০ টন চিংড়ির খোসা ও মাথা এবং প্রায় ৫০ টন কাঁকড়ার খোলস চীন ও ভিয়েতনামে রফতানি হয়। এছাড়া ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে কোরাল, লাক্কা, ঘোড়া মাছ, আইড়, বোয়াল, রুই, কাতলাসহ বিভিন্ন মাছের বায়ু থলি, পিত্ত, চর্বি রফতানি করা হচ্ছে। 
 

বাংলাদেশ থেকে গড়ে প্রতি মাসে দেড়শ’ টন মাছের ফোৎনা রফতানি করে আয় করা হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ লাখ ডলার। ইতালি, জার্মানি, কোরিয়া, চীন ও ভিয়েতনামে প্রায় ২০০ থেকে আড়াইশ’ টন মাছের আঁশ রফতানি হচ্ছে। প্রতিমাসে গড়ে ৮টি কন্টেইনারে প্রায় ৮০ টন হাঙ্গরজাত পণ্য রফতানির মাধ্যমে আয় হচ্ছে প্রায় ১৫ লাখ ডলার।