Bangladesh

Kader takes back seat

Kader takes back seat

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 05 Jul 2019, 07:40 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, জুলাই ৫ : ‘পরিবারে কেউ যুদ্ধাপরাধী বা জামায়াত থাকলেও আওয়ামী লীগের সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে এটা কোনো বাধা হবে না’ বলার পর এক সপ্তাহ না যেতেই এই বক্তব্য থেকে সরে এসেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার (৪ জুন) সচিবালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশে সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মুবিনিময়কালে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতাবিরোধী পরিবারের কেউ আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারবে না।

 

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি (ডুজা) কার্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে তার এই বক্তব্য প্রত্যাহারের জোরালো দাবি তোলা হয়।


এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘না, এ কথা আমি বলতে পারি না। নো, আমি বলিনি। আমাদের অবস্থান অত্যন্ত পরিষ্কার, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ স্বাধীনতার আদর্শ, বাংলাদেশ রাষ্ট্র জন্মের চেতনার পক্ষে। আমাদের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট, এদের (স্বাধীনতাবিরোধী) মনোনয়ন দেয়া, এদের সদস্য করা- এ ব্যাপারে দলের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। এখানে আপোষকামিুার প্রশ্নই উঠে না।’


যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতাবিরোধী পরিবারের কেউ আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারবেন কিনা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধী পরিবার হলে সেখানে আমরা সদস্য সংগ্রহ করি না। তারা সদস্য পদ নিতে পারেন না। এটা সদস্য সংগ্রহ অভিযানের যে নীতিমালা সেখানে স্পষ্ট বলা আছে। আমি নতুন করে কোনো বক্তব্য রাখতে পারি না। এটা আমাদের পুরানো স্ট্যান্ড এবং এই স্ট্যান্ডে আমরা অটল।’


তিনি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক শক্তি যারা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধের বিরুদ্ধে থাকা পরিবারের কেউ যদি আসতে চায় আমাদের তো প্রশ্ন থাকবেই। এখানে আদর্শ ও মূল্যবোধের প্রশ্ন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রশ্ন এখানে আমরা আপোষ করতে পারি না।’


ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নতুন যে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে এর মাধ্যমে স্বাধীনতা বিরোধী কেউ (আওয়ামী লীগে) আসতে পারবে না।’


বিএনপির কেউ যদি আওয়ামী লীগে আসতে চায় তবে অবস্থান কী হবে- যারা বিএনপি থেকে আসতে চায় সে ব্যাপারেও দলের অবস্থান, নীতিগতভাবে আমরা চিন্তা-ভাবনা করেই ঠিক করি। অন্য কোনো দল থেকে আসলে আমরা সাম্প্রদায়িকতার বিষয়টা বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি। সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা যাদের দেখি, তারা জামায়াত হোক বিএনপি হোক একই ভাবে দেখি।’