Bangladesh
Kal Boisakhi hits normal life in Bangladesh
এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
এতে মাটির খড়ের তৈরি কাঁচা বাড়িঘরের ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি।
ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলো হচ্ছে- নিলফামারি, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, কুড়িগ্রাম ও পঞ্চগড়।
ভারী শিলাবৃষ্টির কারণে ভুট্টা, মরিচ, পেঁয়াজ, বোরোর ক্ষেতেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়া শিলাবৃষ্টির সময় মাঠ থেকে বাড়ি ফেরার পথে ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, কাঙ্খিত বৃষ্টি এবং ঝোড়ো বাতাস গরম ও ধুলাবালি থেকে মানুষকে স্বস্তি এনে দিলেও ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক।
কেবল লালমনিরহাটে জেলার ৫টি উপজেলায় তিন হাজার ঘরবাড়ি ভেঙ্গে পড়েছে। সড়কে গাছপালা ভেঙে পড়ে ও বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ায় জনজীবন ও যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
একযোগে বজ্রপাত, আকাশে গর্জন, শিলাবৃষ্টি, ভারী বৃষ্টিপাত ও কাল বৈশাখীর কারণে শিশুরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
চৈত্র মাসে এমন ভয়ানক অবস্থা গত ৪০ বছরে কখনও দেখা যায়নি।
ঠাকুরগাঁও জেলায় প্রবল শিলা বৃষ্টি আর ঝড়ে পাকা গম, সবজি, আম, ভুট্টা ও লিচুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
কালবৈশাখীর প্রভাবে বিমান চলাচলও বিঘিœত হয়। রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুক্রবার (৩০ মার্চ) বিকাল সোয়া ৪টা থেকে তিন ঘণ্টার জন্য সতর্কতা জারি করে বিমানবন্দরের আবহাওয়া অফিস।
এতে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সব ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ রাখা হয়।
এছাড়া, দেশের অন্যান্য বিমানবন্দর থেকেও ঢাকাগামী ফ্লাইটগুলো বন্ধ রাখা হয়।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকাল সোয়া ৪টা থেকে তিন ঘণ্টার জন্য বিমানবন্দরের আবহাওয়া অফিস সতর্কতা জারি করে।
এ সময় দেশের বাইরে থেকে আসা এবং অভ্যন্তরীণ কোনও ফ্লাইট শাহজালালে অবতরণ করেতে পারেনি।