Bangladesh
Kamal wanted to change political culture of bangladesh
বুধবার সকাল আটটায় ধানমণ্ডিতে আবাহনী ক্লাব মাঠ প্রাঙ্গণে শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতারা। পরে সকাল নয়টায় তারা রাজধানীর বনানী কবরস্থানে শেখ কামালের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানের পুত্র হয়েও শেখ কামাল অত্যন্ত সাদাসিধে জীবনযাপন করতেন।
ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেও তিনি ছিলেন নির্লোভ, নির্মোহ। সাধারণ জীবনযাপনের কারণে শেখ কামাল বর্তমান প্রজন্মের কাছে এক অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব হলেও স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি ও দেশবিরোধী চক্র জাতির পিতার পরিবার নিয়ে গোয়েবলসীয় কায়দায় বারবার মিথ্যাচার করে জনমানসে এক ভ্রান্ত প্রতিচিত্র আঁকার অপচেষ্টা করেছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ কামাল বুঝতে পেরেছিলেন রাজনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন চাইলে রাজনীতির সংস্কৃতি বদলাতে হয়। রাজনৈতিক সংস্কৃতি হল আদর্শবাদী রাজনীতি মজবুত করার নিখাদ বুনিয়াদ।
রাজনীতির সংস্কৃতিকে টেকসই করার জন্য তিনি সংস্কৃতির রাজনীতির উপর গুরুত্বারোপ করেছিলেন।
ক্রীড়া ও সংস্কৃতিকে তিনি গ্রহণ করেছিলেন আত্মাপোলব্ধির সোপান হিসেবে। সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উৎকর্ষ সাধনে ক্রীড়া ও সংস্কৃতির নিগূঢ় শক্তিতে বলীয়ান হতে পারলে সবকিছুই কল্যাণমুখী হবে- এ বোধ তার মধ্যে প্রবলভাবে জেগে উঠেছিল।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, শেখ কামাল অনন্য অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
জাতির পিতার সন্তান হওয়া সত্বেও তিনি সাধারণ জীবনযাপন করতেন। সংস্কৃতি ও ক্রীড়াঙ্গনে জাতি গঠনে যে অনন্য অবদান তিনি রেখে গেছেন,তা স্মরনীয় হয়ে থাকবে।
তিনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন, সব মিলিয়ে তার একটা অনন্য অবদান রয়েছে।
যেমন মেধাবী ছিলেন, তেমনি সরলভাবে মানুষের সঙ্গে মিশেছেন। সুতরাং এই দিনে তার প্রতি শদ্ধা নিবেদন করছি।
আজকে আমাদের এগিয়ে চলার সঙ্গে তিনি থাকলে আমরা আরও অনেক দ্রুত গতিতে এগিয়ে যেতে পারতাম। স্বপ্নের বাংলাদেশ আরও অনেক আগেই হতো।