Bangladesh
Kamrul gives evidence in murder case
বুধবার (২০ নভেম্বর) চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মুন্সি আবদুল মজিদের কাছে এ সাক্ষ্য দেন তারা। এর আগে সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ মোট ৫০ জন এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন। ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাংবাদিক কামরুল ইসলাম আদালতকে জানান-হত্যাকা-ের দিন তিনি দৈনিক খবরের সাংবাদিক হিসেবে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে যান লালদীঘির মাঠে। যেখানে জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সমাবেশে পুলিশ বিনা উস্কানিতে মিছিল ও শেখ হাসিনার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করতে থাকে। ওই সময় সড়কে উভয় পাশে পুলিশের নির্বিচারে গুলিতে অনেককে কাতরাতে দেখেছেন বলেও জানান। পরদিন তিনি ২৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানতে পারেন। অপর সাক্ষী অ্যাডভোকেট শৈবাল দাশও কোন কারণ ছাড়াই পুলিশকে গুলি করতে দেখেন বলে জানান।
লালদীঘি ময়দানে ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ জনসভার আয়োজন করে। ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রাম দীঘি এলাকায় শেখ হাসিনার সমাবেশে গুলি করে ২৪ নেতাকর্মীকে হত্যা করে পুলিশ। সমাবেশে পুলিশ বিনা উস্কানিতে মিছিল ও শেখ হাসিনার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করে।
এ ঘটনায় মামলা দায়ের হওয়া মামলায় তখনকার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মির্জা রকিবুল হুদা, এসআই গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল, কনস্টেবল প্রদীপ বড়ুয়া, কনস্টেবল মমতাজ উদ্দিন, কনস্টেবল মোস্তাফিজুর রহমান ও কনস্টেবল শাহ আবদুল্লাহকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। ২০০০ সালের ৯ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত।