Bangladesh

Khaleda Zia's appeal rejected

Khaleda Zia's appeal rejected

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 29 Oct 2018, 04:35 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, অক্টোবর ২৯ : জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে কারা আদালতে বিচার চলবে সংক্রান্ত আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদন খারিজ করেছেন আপিল বিভাগ।

 প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে সাত সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন। এ আদেশের ফলে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।


এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা এ মামলার রায় ঘোষণা জন্য আজ (সোমবার) দিন ধার্য রয়েছে। রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৫ নম্বর অস্থায়ী বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করবেন। খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে কারা আদালতে বিচার চলবে -এ সংক্রান্ত আদেশের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করেছিলেন খালেদার আইনজীবীরা। গত ২০ সেপ্টেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া আদালতে না যাওয়ায় তার অনুপস্থিতিতে বিচার চলবে বলে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক আখতারুজ্জামান আদেশ দেন।


আদেশে আদালত বলেন, আদালতের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে খালেদা জিয়া আদালতে আসতে অনিচ্ছুক। অথচ মামলার দুই আসামি প্রতিদিন হাজির হচ্ছেন। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারি থেকে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হননি। এমন অবস্থায় ন্যায়বিচারের স্বার্থে খালেদা জিয়াকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাকে জামিনে রেখে বিচার চলবে।


খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার চলবে- আদালতের এমন আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করা হয়। সে রিভিশন আবেদন গত ১৪ অক্টোবর খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। এরপর ওই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ২৫ অক্টোবর চেম্বার আদালতে আপিল আবেদন করে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।


এদিকে গতকাল রবিবার (২৮ অক্টোবর) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল (এজি) মাহবুবে আলম বলেন, রায় প্রস্তুত। আপিল খারিজ হলেই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করা হতে পারে। তিনি বলেন, পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ জজ-৫ এ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা শুনানির সময় খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে প্রায় ৪০ বার সময় নেওয়া হয়েছে। তারপর যখন আসামিপক্ষের বক্তব্য শোনার জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হলো তখন তিনি প্রায় ৩২ বার সময় নিয়েছেন। এরপর বেশ কিছুদিন তিনি জেলে থাকাবস্থায় আদালতে যেতে পারেননি। বলা হলো তিনি অসুস্থ। তারপরে একটি তারিখে তিনি বলেছেন তিনি আদালতে যাবেন না।