Bangladesh

Kolkata-Chittagong transshipment to begin this month
Amirul Momenin

Kolkata-Chittagong transshipment to begin this month

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 08 Jan 2020, 06:58 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, জানুয়ারি ৮ : ভারতের সঙ্গে ট্রান্সশিপমেন্টের (পণ্য স্থানান্তর) জন্য চট্টগ্রাম বন্দর প্রস্তুত। চলতি মাসেই চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে কলকাতায় পরীক্ষামূলক পণ্য ট্রান্সশিপমেন্ট শুরু হবে। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম বন্দরের বর্তমান অবস্থা ও অগ্রগতি জানাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজ।

চট্টগ্রাম বন্দরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে জুলফিকার আজিজ বলেন, ‘ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য বন্দরের পক্ষ থেকে আমরা প্রস্তুত। এটা নিয়ে এরই মধ্যে চুক্তি হয়েছে। চুক্তির পর এ নিয়ে নির্দেশনাও এসেছে। জানুয়ারি মাসে চট্টগ্রাম ও কলকাতা বন্দরের মধ্যে দুটি ট্রায়াল রান হবে। এটা মূলত ট্রান্সশিপমেন্টের ক্ষেত্রে সুবিধা-অসুবিধা দেখার জন্য। বন্দরে শুধু পণ্য জমা হবে। তারপর ট্রাকে করে সেটা চলে যাবে গম্তব্যে। আমরা শুধু ট্রায়াল রানের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

চট্টগ্রাম বন্দরের অগ্রগতির তথ্য তুলে ধরে বন্দর চেয়ারম্যান জানান, ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার ওঠানামা হয়েছিল ২৯ লাখ ৩ হাজার।

২০১৯ সালে হয়েছে ৩০ লাশ ৮৮ হাজার। প্রবৃদ্ধি প্রায় ৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ। কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে ৩০ লাখের রেকর্ড অতিক্রম করেছে চট্টগ্রাম বন্দর। ২০১৯ সালে পণ্য উঠানামা হয়েছে ১০ কোটি ৩০ লাখ টন। প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০১৮ সালে জাহাজ এসেছিল ৩ হাজার ৭৪৭টি। ২০১৯ সালে এসেছে ৩ হাজার ৮০৭টি।

তিনি আরও জানান, লয়েডস লিস্টের জরিপ অনুযায়ী বিশ্বের সেরা ১০০টি কনটেইনারবাহী বন্দরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান এখন ৬৪। ২০০৯ সালে ছিল ৯৮তম। ২০২০ সালে যেটি প্রকাশ হবে সেখানে চট্টগ্রাম বন্দর আরও এগোবে।

বে-টার্মিনালে ২০২৫ সালের মধ্যে দেড় হাজার মিটার দৈর্ঘ্যের মাল্টিপারপাস টার্মিনাল এবং ১২২৫ ও ৮৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের ২টি কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এতে জোয়ারের সময় বর্তমানের চেয়ে বেশি ড্রাফটের জাহাজ ভেড়ানো যাবে।


নির্মাণাধীন পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি) মুজিববর্ষে চালুর আশ্বাস ব্যক্ত করে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, এ টার্মিনালের ৫২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। মুজিববর্ষে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করা যাবে। এতে ৬০০ মিটার জেটিতে ১৯০ মিটার লম্বা ও সাড়ে ১০ মিটার ড্রাফটের ৩টি কনটেইনার জাহাজ ও ২২০ মিটার লম্বা তেলবাহী জাহাজ ভেড়ানো যাবে। ব্যাকআপ ইয়ার্ড থাকবে ১৬ একর এবং কনটেইনার ধারণক্ষমতা সাড়ে ৪ হাজার।