Bangladesh
Launch service from Sadarghat starts again
লঞ্চঘাটে যাত্রী আসলেও বৈরি আবহাওয়ার কারণে আজ লঞ্চ ছাড়েনি। তবে আজ সোমবার সকাল থেকে সব ধরনের নৌযান চলাচল শুরু করেছে।
ঢাকা নদীবন্দরের (সদরঘাট) যুগ্ম-পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা) আলমগীর কবির বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবের কারণ রোবাবার সদর ঘাট টার্মিনাল থেকে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল। তবে আজ ১১ নভেম্বর) থেকে সব ধরনের নৌযান চলাচল শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার পরিবার নিয়ে অনেকেই আসেন সদরঘাটে। কিন্তু লঞ্চ না ছাড়ায় তারা চরম অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগের মধ্যে ছিলেন।
রোববার দুপুরে আবহাওয়ার ব্যুলেটিনে বলা হয়, প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হলেও সকাল থেকেই পটুয়াখালী ও বাগেরহাট জেলায় ‘স্থল নিম্নচাপ’ হিসেবে অবস্থান করছে। আবহাওয়া অধিদফতর থেকে নদীবন্দরে দুই ও সমুদ্রবন্দর এলাকায় তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
নিম্নচাপের কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বাতাস ও বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গড়ে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে। পটুয়াখালীতে ৪৫ ও ভোলায় ৯৬ মিলিমিটারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। রোববার সারাদিনই নদীবন্দরে দুই ও সমুদ্রবন্দর এলাকায় ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত বলবৎ থাকবে বলেও ব্যুলেটিনে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের জন্য আর কোনো বিশেষ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ। মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের ৩০ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আরও সামান্য উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে রোববার সকাল ৬টায় বাগেরহাট, বরিশাল ও পটুয়াখালী অঞ্চলে গভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমশ দুর্বল হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে।