Bangladesh

বাংলাদেশঃ চীনা কর্মীর মৃত্যুতে আশান্তির সৃষ্টি, সাধারন মানুষ তাদের লোকানোর চেষ্টাকে বিরোধিতা করল

বাংলাদেশঃ চীনা কর্মীর মৃত্যুতে আশান্তির সৃষ্টি, সাধারন মানুষ তাদের লোকানোর চেষ্টাকে বিরোধিতা করল

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 23 Jun 2019, 09:55 am
ঢাকা, জুন ২২ঃ কিছুদিন আগে বাংলাদেশের মাটিতে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের সহিংস এতি ঘটনায় চীনের এক নাগরিক প্রান হারিয়েছেন।

তবে, এই ঘটনাটি দুই দেশের, তথা ইসলাম ধর্মী দেশগুলি ও চীনের, সম্পর্কের নিরিখেও খুব গুরুত্বপূর্ণ।

এই সপ্তাহের মঙ্গলবার তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের বয়লারের ওপর থেকে সবিন্দ্র দাস নামে এক বাংলাদেশি শ্রমিক পড়ে প্রান হারান। এই থেকেই এই ঘটনার শুরু।

এই মৃত্যুকে ঘিরে চিন ও বাংলাদেশি শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।

সংঘর্ষে গুরুতর আহত চীনা শ্রমিক ঝাং ইয়াং ফাং বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পরে সেখানেই সে প্রান হারান।

ছয়জন চীনা শ্রমিক এবং তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মকর্তাসহ চারজন ব্যাক্তি এই ঘটনায় আহত হয়েছেন।

এই ঘটনায় এখন পরজন্ত ১২ জন ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

চীনা নাগরিক ঝাং ইয়াং ফাংয়ের হত্যা মামলায় জড়িত আছেন ভেবেই এই মানুষদের গ্রেপ্তার করা হয়।

কেন গুরুত্বপূর্ণ এই ঘটনাঃ

বিগত কিছু বছর ধরে চীনের নিজের দেশের ভিতরে উইঘুর মুসলিমদের উপরে যে অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে সেই বিষয় বহু দেশ নিন্দা প্রকাশ করেছেন।

বলাই যায়, এই ঘটনা কিছুটা হলেও পরিষ্কার করেছে যে কিভাবে কাজের ক্ষেত্রে অসাবধান পরিস্থিতির তৈরি করে এমন মৃত্যুর ঘটনাগুলিকে চেপে রাখার প্রয়াস করছে দেশটি।

 

সব মিলিয়ে মুসলিম দুনিয়ার সাথে এক বিবাদে ধুকেছে এশিয়ার এই গুরুত্বপূর্ণ দেশ।


যদিও ভারতকে এক কোণে করবার প্রয়াসে চীন আজ পাকিস্তানের মিত্র কিন্তু বলা জেতেই পারে যে বাংলাদেশ হোক বা বালোচিস্তান, অথবা বেশ কিছু মুসলিম দেশের সাথে আজ সম্পর্কে দাগ লেগেছে।

 

যদিও চীন বহু ক্ষেত্রে বাংলাদেশে টাকা ঢেলেছে তবে এই দেশটির বিরুদ্ধে রাগ ও ক্ষোভও জন্মেছে আজ সাধারন মানুশের মনে।

 

বিবিসি এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে এই দেশে আসা চীনের কর্মচারীদের সাথে বেশ কিছু জায়গায় সমস্যা হচ্ছে সাধারন মানুষের।

 

পটুয়াখালীতে এই মুহূর্তে প্রায় ২০০০ চীনা কর্মচারী কাজ করছেন।

 

তবে, এলাকার মানুষদের মতে চীন এই কাজের জায়গায় ঘটা মৃত্যুর ঘটনাগুলিকে ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

 

আগেও ২০১৬ সালে চীনা সাহায্যে তৈরি প্রকল্পের কাজের সময় বাংলাদেশের মাটিতে অশান্তি হয়েছে। চীনা মদত পুষ্ট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঘটনের সময় বিপুল প্রতিবাদের মুখে পরে পুলিশকে গুলি চালাতে হয়েছিল গ্রামের মানুষদের উপরে।

 

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী এই ঘটনায় চারজন প্রান হারান।

 

টুইটারে চীন ও বাংলাদেশের কর্মীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনাকে বেশ কিছু মানুশ নিন্দা জানিয়েছেন।

 

আরন হালেগুয়া নামের এক পেশায় উকিল জানিয়েছেন এই সংঘর্ষ বুঝিয়ে দেয় চীন কিভাবে কর্মী মৃত্যুর ঘটনা ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।

 

আবার সাদিয়া নামের আরেকজন চীনা জিনিস ব্যবহার বন্ধ করবার আহবান জানিয়েছেন।

 

বেশ কিছুদিনের জন্য চীন পাকিস্তানের এক ঘনিষ্ঠ সহযোগী।

 

চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি) বেইজিংয়ের "বেল্ট ওয়ান রোড" উদ্যোগের অধীনে অত্যন্ত প্রচারিত প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি। চীনা সরকার "আঞ্চলিক সংযোগ বৃদ্ধি এবং আলিঙ্গন করার আহ্বান জানিয়েছে"।

সমুদ্র ও রাস্তার বন্ধন গড়বার জন্য ৬৫ দেশ এতে জড়িত আছে।

কিন্তু বেলুচিস্তানে চীনা বিনিয়োগ প্রকল্পগুলি এই অঞ্চলের গোষ্ঠীগুলির দ্বারা বিরোধিতা কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।

 

পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন বেলুচিস্তান বেশ কিছুদিন ধরেই লরাই চালাচ্ছে।

 

তবে, এই প্রকল্পগুলিকে কেন্দ্র করে বেলুচ জনগণের উপরে অত্যাচার চালিইয়ে চলেছে পাকিস্তান, সংবাদ মাধ্যম সুত্রে জানা গেছে।

 

মুক্ত বালুচিস্তান বানানোর জন্য লরাই করছেন এম্ন এক কানাডা ভিত্তিক এক কর্মী নাএলা মনে করেন যে ইতিহাসে এই অঞ্চলে এত প্রতিবাদ দেখেনি জা এখন দেখছে।

 

আর পাকিস্তান চস্তা করছে এই পরিতিবাদ বন্ধ করবার, জানিয়েছেন উনি।

 

উনি আর বলেন যে চীন এই বিষয় পাকিস্তানকে মদত দিচ্ছে জাতে তাদের আগামী দিনে এই পথে বানিজ্যিক উন্নতি ঘটে।


চীনে উইঘুর মুসলিমদের উপরে অত্যাচারের ঘটনাঃ

চীনে যেভাবে এই মুসলিম মানুষদের ক্যাম্পে রেখে পীড়া দেওয়া হচ্ছে তা আজ দুনিয়ার বহু দেশ প্রতিবাদ জানিয়েছে।

 

টার্কি দেশের সরকার এই ঘটনাকে 'মানবতার জন্য একটি মহান লজ্জা' বলে ডাক দিয়েছেন।

 

একই সঙ্গে বন্দীশিবির বন্ধ করে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিল দেশটি।

 

চীনা কর্তৃপক্ষ এই রমজান মাসে উইঘুর মুসলিমদের জোর করে খাওয়ার খাওয়ায় বলেও সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছিল।

 

ওয়ার্ল্ড উইঘুর কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট ডলকুন ঈশা  এই ঘটনাকে অপমানজনক বলেছিলেন।

 


জাতিসংঘ  গত বছর জানিয়েছিল যে উইঘুরের ১০ লাখ মুসলিম মানুষকে আতকে রাখা হয়েছে।

 

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান ্রখান কিছুদিন আগে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছিলেন যে এই বিষয় উনি কিছুই জানেন না।

 

কিছুদিন আগে নুরমুহাম্মদ তোটি নামের এক উইঘুর লেখক প্রান হারিয়েছেন এমন এক চীন সরকারের চালানো ক্যাম্পে।

 

ভয়েস অব আমেরিকা নামের এক পত্রিকাকে এক সাক্ষাৎকারে এই লেখকের নাতনি বার্না জানিয়েছেন।

 

এই ঘটনাকে নিন্দা জানিয়েছেন পেন আমেরিকান সেন্টার নামের এক সংস্থা নিন্দা জানিয়েছে।