Bangladesh

দূর নিয়ন্ত্রিত লালবাতি কমাতে পারবে ঢাকার যানজট?

দূর নিয়ন্ত্রিত লালবাতি কমাতে পারবে ঢাকার যানজট?

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 06 Dec 2018, 06:42 am
ঢাকা, ডিসেম্বর ৬ ঃ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে ট্র্যাফিক সামলাতে দূরনিয়ন্ত্রিত (রিমোট কন্ট্রোলড) সিগনালিং ব্যবস্থা চালু হচ্ছে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় বা ইন্টারসেকশনে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ অন্তত ছ'টি পুরোপুরি তৈরি হওয়া এ ধরনের সিগনাল বাতি মেট্টোপলিটান পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগের হাতে তুলে দিচ্ছে এ সপ্তাহেই। এই রিমোট কন্ট্রোলড সিগনালিংয়ের বিশেষত্ব হল, একটা ক্রসিংয়ের কোন দিকে যানবাহনের চাপ কত- সেই অনুযায়ী দূর থেকেই স্থির করা হবে, লাল বা সবুজ বাতির মেয়াদ কোনদিকে কতটা হবে।

ফলে ডিজিটাল ডিসপ্লেতে দেখেই গাড়ির চালকরা বুঝতে পারবেন ওই সিগনালে তাকে ঠিক কতটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। তাছাড়া সাবেকি ট্র্যাফিক সিগনালে যেমন আগে থেকেই ঠিক করা থাকত কোনদিকে লালবাতি কতক্ষণ থাকবে, এখানে তা হবে না - বরং দিনের কোন সময়ে কোন দিকে যানবাহনের চাপ কত সেটা বুঝে ‘রিয়াল টাইমে’ সেই মেয়াদটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। কিন্তু যেটা কোটি টাকার প্রশ্ন, তা হল ঢাকা এই ধরনের ব্যবস্থার সঙ্গে কতটা অভ্যস্ত হতে পারবে?

 

ট্র্যাফিক সিগনালে যদি ব্যাটন হাতে পুলিশকর্মীরা না-থাকেন, তার পরেও কি শহরের চালকরা শুধু ডিজিটাল ইশারায় সিগনালের নিয়মকানুন মেনে চলবেন কি-না জানতে চাইলে  বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নগর পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান আফসানা হক বলেন, এটা আসলে নির্ভর করবে রিমোট কন্ট্রোলড সিস্টেম কত নিখুঁতভাবে কাজ করবে তার ওপর।

 

ড: হকের কথায়, ‘চালকরা যদি দেখেন যে ডিসপ্লেতে দেখাচ্ছে তাদের ১২০ সেকেন্ড অপেক্ষা করতে হবে - এবং ঠিক দুমিনিটের মাথাতেই গাড়ির চাকা চলতে শুরু করল, তাহলে তারা সেটা সানন্দে মেনে নেবেন। কিন্তু তা যদি না-হয় তখন তারা কিন্তু ধৈর্য রাখবেন না, একটা বড় গন্ডগোল বেঁধে যাবে।’ তবে পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড: এস এম সালেহউদ্দিন এখনই অতটা আশাবাদী হতে রাজি নন - কারণ তিনি মনে করেন ঢাকায় তীব্র যানজটের পেছনে মূল কারণটা হল যথেষ্ঠ পরিমাণে রাস্তার অভাব।

 

তার মতে, রিমোট ট্র্যাফিক সিগনাল প্রথম প্রথম কিছুটা স্বস্তি দেবে, শহরের কোনও কোনও জায়গায় যাতায়াত হয়তো একটু মসৃণও হতে পারে - কিন্তু আমার ধারণা অল্প দিনের মধ্যেই পরিস্থিতি আবার যে-কে-সেই হয়ে দাঁড়াবে। গূত্র: বিবিসি বাংলা।