Bangladesh
Magistrate to trace if injection are given to cows
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, এবার পশুর হাটে র্যাব, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), ঢাকা জেলা পরিষদ, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা নজরদারি করবেন। এ ছাড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-এপিবিএনের সহযোগিণায় হাটগুলোতে থাকবেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা। তাদের অভিযান পরিচালনা করবেন অধিদফতরের সহকারী পরিচালকরা।
র্যাব ও পুলিশের ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, এ বছর রাজধানীর প্রতিটি হাটে তাদের প্রতিনিধিরা থাকবেন। কোনো অনিয়ম দেখলে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে সেগুলো তুলে ধরবেন। কোনো ইজারাদার ক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত হাসিল নিচ্ছে কি না, জোর করে এক হাটের পশু অন্য হাটে নামানো হচ্ছে কি না, হাটে অননুমোদিু কোনো হকার আছে কি না, হাটের চৌহদ্দির বাইরে কোনো পশু নামানো হলো কি না? এ ছাড়া পশু মোটা করার জন্য ক্ষতিকারক কিছু খাওয়ানো হচ্ছে কি না-সে বিষয়টিও নজরে রাখা হবে।
গত বছর গাবতলীর হাটে বেশ কয়েকটি গরু দেখতে পাওয়া যায় যেগুলো ক্ষতিকারক স্টেরয়েড ইনজেকশন দিয়ে মোটা করা হয়েছে। এ অপরাধে একজন ভুয়া চিকিৎসক ও দু’জন গরু ব্যবসায়ীকে সাজা দেয়া হয়। স্টেরয়েডের মতো মারাত্মক হরমোনের ক্ষমুার পশুর চেয়ে ৫ থেকে ১০ গুণ বেশি। ফলে পশুর দেহে অতিরিক্ত পানি জমে শরীর দ্রুত ফুলে ওঠে। স্টেরয়েড ব্যবহৃত মাংস খেলে মানুষের কিডনি, লিভার, অন্ধত্ব, পুরুষত্যহীনতা ও ক্যান্সারসহ বিভিন্ন স্পর্শকাতর অঙ্গে রোগ সৃষ্টি হয়। একই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়।