Bangladesh
Major decisions on job quota made
সরকারের এ কমিটির নেতৃত্বে থাকা মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘কোটা নিয়ে রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীর কাছে আজ সাবমিট করে দিয়েছি। আমাদের ফাইন্ডিংস হলো নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত যে প্রাথমিক নিয়োগ হয়, সে নিয়োগে কোনো কোটা থাকবে না’।
কমিটির এই সুপারিশ প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পেলে মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে। মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেলে আগামী মাসেই তা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হতে পারে বলে জানান শফিউল আলম।
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত; এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ত্রয়োদশ থেকে বিংশতম গ্রেডে নিয়োগের ক্ষেত্রে আগের নিয়মই বহাল থাকবে। সরকারি কর্ম কমিশন ইতোমধ্যে ৪০তম বিসিএসের যে বিজ্ঞাপন দিয়েছে, তার ওপর এই সুপারিশের কোনো প্রভাব পড়বে কি না- এই প্রশ্নে সচিব বলেন, ‘সেখানে বলা আছে সরকার যদি ভিন্নরূপ সিদ্ধান্ত নেয়- সে অনুযায়ী কোটা নির্ধারিত হবে।’
সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কিংবা প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা অন্য কোনোভাবে রাখা যায় কি না তা ভাবা হবে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে শফিউল আলম বলেন, তারা যাচাই বাছাই করে দেখেছেন, এখন কোটা ‘না হলেও চলতে পারে’।
‘আদালতের একটি নির্দেশনা আছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে। এ বিষয়ে আমরা এক্সামিন করেছি। আইন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সরকার পলিসি ম্যাটার হিসেবে যেটা সিদ্ধান্ত দেবে সেটা ঠিক আছে।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, সরকারি চাকরিতে ঢোকার বয়স ৩০ বছর থেকে বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।