Bangladesh

Major info leaked about Tarek
Amirul Momenin

Major info leaked about Tarek

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 03 Nov 2019, 08:27 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, নভেম্বর ৩ : হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের এক ট্রাস্টির নানা অপকর্ম এবং তার সঙ্গে লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে একটি গোয়েন্দা সংস্থা। যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সেই গোয়েন্দা প্রতিবেদন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে জমাও দেয়া হয়। কিন্তু প্রতিবেদনটির কপি চলে যায় অভিযুক্ত ট্রাস্টি (কিশোরগঞ্জ) রিপন রায় লিপুর কাছে। শুধু তা-ই নয় প্রতিবেদনটি যুক্ত করে রিপন রায় ওই গোয়েন্দা সংস্থাটির মহাপরিচালকের কাছে চিঠি পাঠান। সেখানে তিনি গোয়েন্দা প্রতিবেদনটি ‘মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেন।

এ অবস্থায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ঘটনাটি উল্লেখ করে গোয়েন্দা সংস্থাটির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়। সেখানে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করে গোয়েন্দা প্রতিবেদন সুরক্ষায় ব্যবস্থা নিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়।

 

এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেয়া হয়। গোয়েন্দা প্রতিবেদন ফাঁস হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এর সঙ্গে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।


এ বিষয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘রিপোর্টটি আনফরচুনেটলি তার (ট্রাস্টি রিপন রায়) হাতে চলে গিয়েছিল যেভাবেই হোক। তিনি (রিপন) গোয়েন্দা সংস্থাটির স্থানীয় উপ-পরিচালককে হুমকি-ধামকি দিয়েছেন বলেও শুনেছি। সংস্থাটি থেকে বিষয়টি আমাকে জানানোর পর আমরা একটি কমিটি গঠন করেছি। তদন্তে প্রতিবেদনটি ফাঁস করার সঙ্গে যাদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব (উপসচিব) বিষ্ণু কুমার সরকার জানান, সর্বশেষ ট্রাস্টি বোর্ডেও মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ১৩ জুন। নতুন ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আইন অনুযায়ী ট্রাস্টিদের মেয়াদ তিন বছর।