Bangladesh

Major items stopped at Benapole

Major items stopped at Benapole

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 25 Jul 2019, 06:06 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, জুলাই ২৫ : ভারত থেকে আনা বিভিন্ন পণ্যের একটি চালানে ২০০ কেজি ভায়াগ্রা (সিলডেনাফিল সাইট্রেট) থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে বেনাপোল কাস্টমস হাউস। তিন মাস আগে চালানটি আটক করা হলেও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সম্প্রতি বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হয় কর্তৃপক্ষ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে এ ধরনের চালান আটকের ঘটনা এটাই প্রথম এমনকি দেশে প্রথমবারের মত এ ধরনের ঘটনা উদঘটিত হলো।

মঙ্গলবার বেনাপোল কাস্টমস হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী মানব সমাজের নীরব ঘাতক ভায়াগ্রা। বিশ্ব কাস্টমস সংস্থার (ডব্লিউসিও) ১৮২ সদস্য দেশকে মাদক, বিষ্ফোরক ও এ ধরনের ক্ষতিকর পণ্য চোরাচালানের বিষয়ে দীর্ঘদিন র্সুকবার্তা দিলেও বাংলাদেশেই প্রথম ভায়াগ্রা আটক হল।

 

কমিশনার বলেন, রাজধানীর কলাবাগানের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান রেড গ্রিন ইন্টারন্যাশনাল ভারত থেকে বিভিন্ন পণ্যের একটি চালান আমদানি করে। রাজস্ব পরিশোধের পর বন্দর থেকে চালানটি খালাস করে নেওয়ার সময় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কাস্টমস কর্মকর্তারা চালানটি আটক করে। গত ১৬ এপ্রিল এই চালান আটক করা হয়। তিনি জানান,এই চালানে ৫০০ কেজি ফ্লেভার, ২০০ কেজি সাদা পাউডার, ১ লাখ ৯৪ হাজার পিস সিরিঞ্জ, ১১০ দশমিক ৭৭ কেজি ইমিটেশন জুয়েলারি, ৩০৩ পিস শাড়ি, ১৪ পিস ওড়না, ১০ পিস কামিজ, ৯ পিস সালোয়ার, ৩৮টি থ্রিপিস, ১৯ পিস শার্ট ও ১২২ পিস প্যান্ট পাওয়া যায়।

 

পরে কাস্টম হাউসের নিজস্ব ল্যাবে ২০০ কেজি পাউডার পরীক্ষা করে প্রাথমিকভাবে ভায়াগ্রা শনাক্ত হয়। অণ্যন্ত ষ্পর্শকাতর পণ্য বিবেচনায় আরো নিশ্চিত হওয়ার জন্য এর নমুনা খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) পাঠানো হয়। তিন মাস পর কুয়েট পরীক্ষা করে পণ্যটিকে ৯৮ শতাংশ ভায়াগ্রা বলে রিপোর্ট দেয়। কুয়েটের প্রতিবেদন পাওয়ার পরই কাস্টমস্ কর্তৃপক্ষ চালানের ভায়াগ্রা উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত হয়।

 

প্রসঙ্গত,অন্যান্য চিকিৎসার পাশাপাশি যৌন উত্তেজনা বাড়াতে ভায়াগ্রা ব্যবহৃত হয়। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সিএন্ডএফ এজেন্ট আহাদ এন্টারপ্রাইজের লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করা হয়েছে।

 

বেলাল চৌধুরী জানান, বিষয়টি অধিকতর তদন্তের জন্য যুগ্ম কমিশনারের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটির তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর দোষীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হবে।

 

কাস্টমস্ বিভাগের কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরীর নেতৃত্বে ইতোমধ্যে এ ধরনের আরো একটি চালান সন্দেহের তালিকায় রেখে খালাস স্থগিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে অনুসন্ধানের কাজ চলছে।