Bangladesh

Major Sinha killing: Police arrest three witnesses
আটক তিন সাক্ষী। ইনসেটে মেজর সিনহা (ছবি সংগৃহিত)।

Major Sinha killing: Police arrest three witnesses

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 12 Aug 2020, 12:28 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১২ আগস্ট ২০২০ : কক্সবাজারের টেকনাফে মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) সকালে তাদের গ্রেফতারের পর দুপুরে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন- টেকনাফের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়ার নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দীন ও মোহাম্মদ আইয়াস।

কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান জানান, দুপুরে গ্রেফতার তিন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করে তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।
এর আগে গ্রেফতার সাক্ষীরা গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছিলেন, এ হত্যার ঘটনা তারা কেউ নিজের চোখে দেখেননি। ঘটনার পর স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে তাদের ডেকে নেয়া হয়। পরে সকালে টেকনাফ থানায় নিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন তারা। পরে জানতে পারেন তাদের সাক্ষী করা হয়েছে।
গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ রোডে টেকনাফের বাহারছড়া চেকপোস্টে তল্লাশির সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ তড়িঘড়ি করে দুটি মামলা করেন। মামলায় নিহত সিনহার সফরসঙ্গী সিফাতকে আসামি করা হয়। সেই মামলায় বেশ কয়েকজনকে সাক্ষী করা হয়। ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী, ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
৬ আগস্ট বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপসহ সাত আসামি কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। মামলার শুনানিতে র‌্যাবের পক্ষে প্রত্যেক আসামির ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হলে আদালত লিয়াকত, প্রদীপ ও নন্দ দুলাল রক্ষিতের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বাকি চারজনকে দুদিন কারা ফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন। অন্য দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। চারজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আবারও ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছে মামলার তদন্ত সংস্থা র‌্যাব।
সিনহা হত্যার ঘটনার পর পুলিশের করা মামলায় গ্রেফতার হয়ে কক্সবাজার কারাগারে ছিলেন বেসরকারি স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও শিপ্রা দেবনাথ। নিহত সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের সঙ্গে কক্সবাজারে প্রামাণ্যচিত্র তৈরির কাজ করছিলেন স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির তিন শিক্ষার্থী শিপ্রা দেবনাথ, সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও তাহসিন রিফাত নূর। পুলিশ সাহেদুল ইসলাম সিফাতের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মাদক ও হত্যা মামলা এবং কক্সবাজারের রামু থানায় শিপ্রার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করে। এ ছাড়া তাহসিন রিফাত নূরকে অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।