Bangladesh

Mandir and Masjid located side by side, Bangladesh becomes epitome of peaceful harmony
Amirul Momenin

Mandir and Masjid located side by side, Bangladesh becomes epitome of peaceful harmony

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 07 Mar 2020, 10:18 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, মার্চ ৮ : মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভৈরবগঞ্জ বাজারে মাত্র কয়েক গজের ব্যবধানে গড়ে উঠেছে ভৈরব মন্দির আর মাজদিহি জামে মসজিদ। মসজিদের মিনার আর মন্দিরের চূড়া দাঁড়িয়ে আছে পাশাপাশি। দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল নিদর্শন এটি। ৭৩ বছর বছর ধরে এখানে শান্তিপূর্ণভাবে দুই ধর্মের মানুষ যে যার ধর্ম পালন করে আসছেন। পাশাপাশি মন্দির ও মসজিদ থাকায় এখানকার দুই ধর্মের মানুষই একে অন্যের ধর্ম সম্পর্কেও অভিজ্ঞতা নিতে পারছেন। সম্প্রীতির শিক্ষা ছড়াচ্ছে এই দুই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২০০ বছর আগে এখানে মন্দির নির্মাণ করা হয়। ৭৩ বছর আগে মসজিদ নির্মাণ করা হয়। গত ৭৩ বছরে দেশব্যাপী অনেক সাম্প্রদায়িক উসকানি ঘটলেও তার প্রভাব এখানে পড়েনি। দুটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এক সঙ্গে প্রায় ২০ গজের ব্যবধানে সহাবস্থানে রয়েছে। প্রথমে এই দুই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কোনো দেয়াল বা স্থাপনা ছিল না।

বর্তমানে দেয়াল উঠেছে। এই দীর্ঘ সময় দুই ধর্মের মানুষ কাছাকাছি অবস্থানে ধর্মকর্ম পালন করে গেলেও এখানে কোনো সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্টের ঘটনা ঘটেনি।


স্থানীয় কালাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মজুল জানান, এই মন্দিরের পাশেই এক সময় বাজার গড়ে ওঠে। যা এখন ভৈরব বাজার নামে পরিচিত।

লোকমুখে প্রচলিত তথ্য মতে প্রায় ২০০ বছর আগে পূণ্যদত্তের পরিবার ভৈরব মন্দির স্থাপন করেছিলেন। এরপর এখানে মসজিদ স্থাপন করা হয় ১৯৪৭ সালের দিকে। এলাকাবাসী ও মাজদিহি চা বাগান কর্তৃপক্ষ নিজেদের অর্থায়নে মসজিদটি নির্মাণ করেন। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই দুই ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মকর্ম পালন করে যাচ্ছেন।


মসিজিদের ইমাম মৌলানা জাফর আহমদ বলেন, ১৫ বছর ধরে এখানে খতিবের দায়িত্ব পালন করছি। প্রায় ৭৩ বছরের ইতিহাসে দুই ধর্মের মধ্যে কোনো ঝামেলা হয়নি। কোনোদিন তাদের মধ্যে মনক্ষুন্নতা সৃষ্টি হয়নি।

তিনি জানান, নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর প্রায়ই ভৈরব মন্দিরের পুরোহিত জন্মজয় ভট্টাচার্য্যরে সঙ্গে দেখা হয়। তখন তারা সেখানে কুশল বিনিময় করেন।


মন্দিরের পুরোহিত জন্মজয় ভট্টাচার্য্য বলেন, এখানে উভয় ধর্মের মধ্যে এক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজমান। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের নিমন্ত্রণ দিলে তারা আসেন। মাঝে মাঝে আমরা অনেক রাত পর্যন্ত কীর্তন করি। শুধু নামাজের সময় আমাদের বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজ নিয়ন্ত্রণে রাখি।