Bangladesh
Many in Awami League put under surveillance
কাদের বলেন, এখানে ঢালাওভাবে ছাত্রলীগ-যুবলীগের প্রশ্ন নয়, আওয়ামী লীগেও এসব অপকর্ম যদি কেউ করে সেটাও খোঁজ খবর তিনি (আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) নিচ্ছেন। দুর্নীতি, অপকর্ম, শৃঙ্খলা ভঙ্গ; এসবের জন্য কিন্তু অনেকেই নজরদারিতে আছেন এবং সময়মতো ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শুধুমাত্র ঢাকার নেতাদের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শুধু রাজধানী কেন্দ্রিক এটা ঠিক নয়, সারাদেশে যেখানেই অপকর্ম, দুর্নীতি, অনিয়ম হবে, শৃঙ্খলা ভঙ্গ হবে, সর্বত্রই একই নিয়মে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা কার্যকর হবে। এখন যুবলীগ-ছাত্রলীগ বিচ্ছিন্ন কিছু নয়। ছাত্রলীগের দুই জনকে অব্যাহতি দেয়া, যুবলীগের একজনকে গ্রেফতার করা, ক্যাসিনো কেন্দ্রিক যে অভিযান এটা ঢালাওভাবে ছাত্রলীগ আর যুবলীগের বিরুদ্ধে নয়। ছাত্রলীগ-যুবলীগে বহু ত্যাগী নেতাকর্মী আছে, তারা অনেক ভালো কাজও করছে। এখানে দুর্নীতি, অনিময়, বিশৃঙ্খলার সঙ্গে যারা জড়িত, যাদের আচরণে পার্টি এবং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে, ঠিক তাদের বিরুদ্ধেই ‘কেইস টু কেইস’ খোঁজ-খবর নিয়ে ‘অ্যাকশন’ নেয়া হচ্ছে। এটা আগেও নেয়া হয়েছে।
এ সময় নিজ দলের লোকদের বিরুদ্ধে শাস্তির ঘটনা বিএনপিতে নেই বলেও দাবি করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, অতীতে বিএনপির মতো বড় দল ক্ষমতায় ছিল। কোনও উদাহরণ নেই যে, তারা তাদের দলের কোনও অপকর্ম, লুটপাট, দুর্নীতি, খুন এসব নিয়ে তারা কোনও ‘অ্যাকশনে’ গেছে। আজকে র্যুমান সরকারের এটা সবচেয়ে ভালো দিক। এই অ্যাকশনের কারণে শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা জনগণের কাছে অনেক বেড়ে গেছে। আপনারা সাংবাদিকরা এটা ভালোই যুঝতে পারেন।
‘আওয়ামী লীগ ঢাকাকে ক্যাসিনোর শহর বানিয়েছে’- বিএনপির এমন অভিযোগের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ঢাকাকে ক্যাসিনোর শহর বানিয়েছে বিএনপি। তাদের সময় এই ক্যাসিনোগুলো ছিল। সে ক্যাসিনোর ব্যাপারে ‘অ্যাকশন’ তো নেয়া হচ্ছে। সরকারের প্রথম বছরেই কিন্তু ‘অ্যাকশন’ নেয়া হয়েছে। সময় তো এখন ফুরিয়ে যায়নি। এমন তো নয় যে, ইলেকশনকে সামনে রেখে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। প্রথম আট-নয় মাসেই ব্যবস্থা নেয়া শুরু হয়েছে। বিএনপি যা করতে পারেনি, সেটা আওয়ামী লীগ সরকার করছে। এতে সরকার ও আমাদের দলের ভাবমূর্তি বাড়ছে এবং সেটাই বিএনপির গাত্রদাহের কারণ।