Bangladesh

Maximum Bangladesh casino staff were from hills

Maximum Bangladesh casino staff were from hills

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 23 Sep 2019, 12:16 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, সেপ্টেম্বর ২৩ : রাজধানীর মতিঝিল থানার ১০০ মিটার দৃরে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) অভিযান চালায় পুলিশ। এদিন দুপুরে অভিযানে গিয়ে পুলিশ ক্লাবটি থেকে বিপুল পরিমাণ ক্যাসিনো সরঞ্জাম, চিপস, প্লেইং কার্ড, ছুরি, বেটিং গেম ইণ্যাদি উদ্ধার করে।

মতিঝিলে প্রায় চার হাজার স্কয়ার ফুটের এ ক্লাবে অভিযানকালে পুলিশ ক্লাবের রেজিস্টার রুমে যায়। সেখান থেকে স্টাফদের তালিকা ও বিবরণের রেজিস্টার জব্দ করা হয়। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখা যায়, ক্লাবে দুই শিফটে প্রায় ৫০ জন স্টাফ কাজ করতো। তাদের অধিকাংশই পার্বত্য এলাকার (বান্দরবান ও রাঙামাটির)। এছাড়া সেখানে চাকরিপ্রত্যাশীদের সিভি পাওয়া গেছে। তাদের প্রায় সবাই পার্বত্য এলাকার।
পুলিশের ধারণা, সাধারণত এ ধরনের ক্যাসিনো নেপালি কিংবা অন্য দেশের নাগরিকরা পরিচালনা করে। তবে খরচ কমাতে ক্লাবটি পার্বত্য জেলার তরুণ-তরুণী ও উপজাতিদের দিয়ে চালাতো।
কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখা যায়, মোহামেডানে কর্মরতদের অধিকাংশের বয়স ১৯-২৩। তাদের কেউ কেউ এইচসএসসি পাস করেছে, কেউ আবার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তারা পড়াশোনার পাশাপাশি ক্যাসিনোতে কাজ করছে। কেউ ডিলার বিভাগে, কেউ আবার গেমিং বিভাগে কাজ করতো। ক্লাবে জুয়া পরিচালিত হতো সকাল ১০টা থেকে পরদিন ভোর ৫টা পর্যন্ত, মোট ১৯ ঘণ্টা। ক্লাব বন্ধ থাকত মাত্র ৫ ঘণ্টা। কর্মচারীরা দুই শিফটে ১০ ও ৯ ঘণ্টা করে কাজ করতো। মেয়েদের ডিউটি থাকতো রাতে।


ক্যাসিনোর বিষয়ে মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘খবর পাওয়া মাত্রই অভিযানে এসেছি। কতদিন ধরে চলছে, কারা এর সঙ্গে জড়িত -এসব বিষয় তদন্ত করে দেখব। এখান থেকে যাদের নাম আসবে তারা যুই প্রভাবশালী হোক, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’


উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে ফকিরাপুলের ইয়াংমেন্স ক্লাবে অবৈধ ক্যাসিনোতে চালানো অভিযানের মধ্য দিয়ে ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে র‌্যাব। সেখান থেকে দুই নারীসহ ১৪২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ওইদিনই গুলশানের বাসা থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইয়াংমেন্স ক্লাবের সভাপতি খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র, গুলি, মাদকও জব্দ করা হয়। পরে আরও কয়েকটি ক্লাবে অভিযান চলে।


পুলিশ জানিয়েছে, ঢাকায় ক্লাবভিত্তিক ক্যাসিনো বা জুয়ার আসর বন্ধের পর দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে এই অভিযান। পুলিশ সদর দফতর থেকে সারাদেশে জুয়া আর জুয়াড়িদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এসপিদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মহানগর, জেলা ও উপজেলা থেকে শুরু করে গ্রাম পর্যন্ত জুয়ার গডফাদার, জুয়া বোর্ড পরিচালনায় জড়িত এবং জুয়াড়িদের এলাকাভিত্তিক তালিকা তৈরিও শুরু হয়েছে।