Bangladesh
Mess, Hostels kept under vigil over Bangladesh polls
পুলিশ বলছে, নাশকতা পরিকল্পনা ও দেশকে অস্থিতিশীল করা হতে পারে এমন আশঙ্কায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। রাজধানীর একাধিক এলাকার ব্যাচেলর বাসা ও মেস মালিকরা জানান, ফ্রলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার অজুহাতে ভোটের আগের দিন, ভোটের দিন ও ভোটের পরের দিন মেস ও ব্যাচেলর বাসা ফাঁকা রাখতে বলা হয়েছে। এই ধরনের নির্দেশের কারণে তারা বিপাকে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নজরদারি করা হবে, তবে এলাকা ফাঁকা করে চলে যেতে বলার কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। রাজধানীর কল্যাণপুর এলাকার দক্ষিণ পাইকপাড়ার ১০ নং সড়কের এক বাসা মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমার বাসায় ব্যাচেলর রয়েছে। তাদেরকে নির্বাচনের দিনসহ তিন দিন এলাকা ছেড়ে থাকার কথা বলা হয়েছে। ফ্রলিশ বলছে- নিরাপত্তার স্বার্থে না কি এমন নির্দেশনা।’
মিরপুর পীরেরবাগ এলাকার একাধিক মেসের ছাত্র ও চাকরিজীবীরা জানান, মেসে এসে মালিক বলে গেছে নির্বাচনকালে তিন দিন মেসে থাকা যাবে না। পুলিশ না কি থাকতে নিষেধ করেছে। এই সংবাদে বেশ কয়েকজন ছাত্র চলেও গেছে।
আল আমিন নামে একজন মেস বাসিন্দা জানান, আমরা কয়েকজন চাকরিজীবী রয়ে গেছি। সবাই চলে গেছে। জানি না আমাদের কী হবে! চাকরির কারণে থাকতে হচ্ছে। আনসারুল ইসলাম বিকো নামে দারুসসালাম এলাকার ব্যাচেলর ভাড়াটিয়া সোমবার বলেন, ‘পুলিশের খুব কড়াকড়ি। প্রতিদিন কোনো না কোনো সময় এসে জিজ্ঞাসা করছে। খোঁজ খবর নিচ্ছে। কখন কোথায় যাই না যাই, কখন ফিরি। চাকরি করি, বন্ধুবান্ধবরা আসে আড্ডা দিই। সোমবার রাতে পুলিশি নিরাপত্তার অজুহাত শুনিয়ে মালিক অনুরোধ করে গেছে- নির্বাচনের ২/৩ দিন পর পর্যন্ত যেন আর কাউকে বাসায় আনা না হয়।