Bangladesh
Moinul has not learned discipline: Hasina
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যখন একটা মামলা হয়, তখন ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়। ওয়ারেন্ট ইস্যুর সঙ্গে সঙ্গে এখানে কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর ছিল।
বিষয়টি যখন বিচার বিভাগের, সেখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তো গিয়ে হামলা করতে পারে না। এছাড়া তিনি সেখানে আগাম জামিন চেয়েছেন। কোর্ট তাকে আগাম জামিন দিয়েছেন। তাও পাঁচ মাসের।’ মাসুদা ভাট্টিকে নিয়ে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের মন্তব্যের প্রতিবাদ করতে সাংবাদিকদের আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তিনি একজন নারী সাংবাদিককে প্রকাশ্যে একটা জঘন্য কথা বললেন। শুধু বাংলাদেশ কেন সারা বিশ্ব দেখেছে। কীভাবে তিনি একজন নারী সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এমন জঘন্য কথা বললেন। ববে কোর্ট যেহেতু তাকে জামিন দিয়েছেন, তাই আমার কিছু বলার নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মইনুল হোসেন কে তা কি আপনারা জানেন? এই মইনুল হলেন ৭১’র দালাল। দৈনিক ইত্তেফাক থেকে সিরাজ উদ্দিনকে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন এই মইনুল, বঙ্গবন্ধুর খুনি খন্দকার মোশতাকের দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর খুনি হুদা ফারুক, রশিদরা একটা দল করেছিল। খুনিদের নিয়ে সেই দল গঠন করিয়েছিলেন এই মইনুল। এর কাছ থেকে ভালো এবং ভদ্র ব্যবহার কীভাবে আশা করেন। শুধু তাই নয়, সে ইত্তেফাকে একটা মার্ডারও করেছে। নিজে মার্ডার করে নিজের ভাইকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল। তার কাকরাইলের বাড়ি নিয়েও সমস্যা আছে। ওনার গুণের শেষ নেই।
মইনুল প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘তার আরেকটা গুণের কথা শোনেন, উনি ব্যারিস্টারি পড়তে গেলেন লন্ডনে। ব্যারিস্টারি পাস করে আসার পর উনি সাহেব হয়ে গেলেন। মানিক চাচা পান্তা খুব পছন্দ করতেন। কিন্তু তার ছেলে বিরেত থেকে এসে বাংলাদেশের খাবার খেতে পারতেন না। ইংরেজি খাওয়া দাওয়া উনি শিখে এসেছিলেন। কিন্তু ইংরেজি ভদ্রতাটা শিখে আসেননি।’