Bangladesh

More investments needed to develop education and skill: President Hamid

More investments needed to develop education and skill: President Hamid

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 23 Oct 2018, 11:30 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, অক্টোবর ২৪ : রাষ্ট্রপতি এম আবদুল হামিদ ভবিষ্যৎ চাহিদা মেটাতে মানবসম্পদ, শিক্ষা এবং দক্ষতা উন্নয়নে অধিক বিনিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

তিনি বলেন, আমাদেরকে মানবসম্পদ, শিক্ষা এবং দক্ষতা উন্নয়নে অবশ্যই আরো বেশি করে বিনিয়োগ করতে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, ভবিষ্যৎ চাহিদা পূরণে প্রস্তুতি গ্রহণের ক্ষেত্রে আমাদের মানব সম্পদকে প্রস্তুত করার জন্য অধিক বিনিয়োগ করতে হবে।


রাষ্ট্রপতি মঙ্গলবার জেনিভায় অনুষ্ঠিত পাচঁদিনব্যাপী ওয়ার্ল্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরামে বৈশ্বিক নেতাদের বিনিয়োগ সম্মেলনে এ কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি গত ২২ অক্টোবর থেকে পাচঁদিনের সরকারি সফওে সেখানে রয়েছেন। তিনি অগ্রাধিকারভিত্তিক বিশেষ ইনসেন্টিভ প্রদানের মাধ্যমে গ্রীণ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানী খাতে অধিক বিনিয়োগ করতে বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আমাদেরকে পরিবেশ সংরক্ষণ এবং টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডায় আমাদের
প্রতিবেশী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সামরিক নৃশংসতার শিকার হয়ে বাংলাদেশে আসা ও দীর্ঘদিন এখানে থাকা ১১ লাখ রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে আবদুল হামিদ বলেন, এ বিষয়টি এদেশের অর্থনীতি ও সমাজে ব্যাপক ক্ষতি করছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশ সম্প্রীতি ও অগ্রগতি বজায় রাখতে এখনো নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।


রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে বিশেষ করে তরুণ ও নারীর ক্ষমতায়ন এবং সটিক বিনিয়োগের বিষয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ২০২১ সাল নাগাদ একটি উন্নয়নশীল দেশ এবং ২০৪১ সাল নাগাদ একটি উন্নত দেশে পরিণত হতে যাচ্ছি।’


অনুষ্ঠানে মোঙ্গলিয়া ও মন্টিনিগ্রো, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি আঙ্কটার্ডের মহাসচিব মুখিসা কিতুই, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিগণ ও বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানির প্রধান নির্বাহীগণ উপস্থিত ছিলেন।


বিশ্ব বিনিয়োগ ফোরাম (ডব্লিউআইএফ) হচ্ছে একটি উচ্চপর্যায়ের দ্বিবার্ষিক বহুমুখী অংশীজন সমাবেশ, যেখানে বিশ্বের বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট প্রধান চ্যালেঞ্জসমূহের বিষয়ে আলোচনা ও কার্যক্রম সংক্রান্ত মতবিনিময়ের সুযোগ থাকবে। এখানে আন্তর্জাতিকীকরণ ও শিল্পায়নের এই নতুন যুগে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জর বিষয়ও প্রধান্য পাবে।