Bangladesh

Mosque blast: Instruction given to inspect condition of electricity in Bangladesh religious places
Amirul Momenin

Mosque blast: Instruction given to inspect condition of electricity in Bangladesh religious places

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 06 Sep 2020, 10:50 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় গাফিলতি পাওয়া গেলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ কথা জানান। শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিমতল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদ এলাকা পরিদর্শনের সময় প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সব বিতরণ কোম্পানির আওতাধীন এলাকায় বিদ্যমান মসজিদ-মন্দির ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ সংযোগ ও এসির অবস্থা পরীক্ষার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান নসরুল হামিদ।


প্রতিমন্ত্রী বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণে আহতদের দেখতে প্রথমে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে যান।

এ সময় তিনি আহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে তাদের দ্রুত আরোগ্য নিয়ে মতবিনিময় করেন। পরে তিনি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিমতল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদ এলাকা পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় ও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন।


প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আব্দুল ওহাবের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ডিপিডিসির প্রধান প্রকৌশলী মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।


তিনি বলেন, ‘জনগণ সচেতন থাকলে কোনো অবৈধ কাজ হতে পারে না। অবৈধ গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ অপসারণে স্থানীয়দের সহযোগিতা প্রয়োজন।’


শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে মসজিদের ভেতরে আগুন ধরে যায়। সেখানে থাকা প্রায় ৫০ জনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হুড়োহুড়ি করে বের হওয়ার চেষ্টা করেন তারা। পরে তাদের মধ্যে দগ্ধ অবস্থায় ৩৭ জনকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে শনিবার রাত ৯টা পর্যন্ত ১৯ জন মারা যান।