Bangladesh

Murderer kills mother and three children
Amirul Momenin

Murderer kills mother and three children

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 28 Apr 2020, 12:16 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, এপ্রিল ২৮ : গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার জৈনাবাজার আবদার এলাকায় মোবাইল চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে যাওয়ায় মা ও তিন সন্তানকে গলা কেটে হত্যার কথা আদালতে স্বীকার করেছেন আটক পারভেজ। সোমবার বিকেলে পারভেজ গাজীপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শরীফুল ইসলামের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন দেন।

নিহতরা হলেন- আবদার এলাকার প্রবাসী রেদোয়ান হোসেন কাজলের স্ত্রী ইন্দোনেশিয়ান নাগরিক স্মৃতি আক্তার ফাতেমা (৪৫), তার বড় মেয়ে সাবরিনা সুলতানা নূরা (১৬), ছোট মেয়ে হাওরিন হাওয়া (১২) ও বাকপ্রতিবন্ধী ছেলে ফাদিল (৮)।


প্রবাসীর স্ত্রী ও তিন সন্তানকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় রোববার মধ্যরাতে আবদার এলাকায় অভিযান চালিয়ে পারভেজকে গ্রেফতার করেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক হাফিজুর রহমান। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মা-সন্তানদের খুনের কথা স্বীকার করলে আদালতে ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি নেয়া হয়। দুই মাস আগেও পারভেজ নিহতের এক সন্তানকে উত্ত্যক্ত করতে গিয়ে ধরা পড়েন। পরে ক্ষমা চেয়ে ছাড়া পান।


আদালতের জবানবন্দির বরাতে পিবিআইয়ের পরিদর্শক হাফিজুর রহমান বলেন, মা ও মেয়ের স্মার্টফোন চুরি করতে ২৩ এপ্রিল প্রতিবেশী বাবুলের বাড়ির পেছন দিয়ে কাজলের বাড়ির দেয়াল বেয়ে দোতলা বাড়ির ছাদে উঠেন পারভেজ। নিজের কাছে থাকা ব্লেড দিয়ে ছাদে কাপড় শুকানো রশি কাটেন। পরে ছাদের গ্রিলের সঙ্গে রশি বেঁধে দোতলার বাথরুমের ভেন্টিলেটর দিয়ে ঘরে ঢোকেন।


পরে নূরা ও হাওরিনের রুমের খাটের নিচে লুকিয়ে থাকেন। নূরার তখন কানে হেডফোন ছিল। ছোট বোন হাওরিন ঘুমিয়ে ছিল।

এক ঘণ্টা পর সবাই ঘুমিয়ে গেছে ভেবে রান্না ঘর থেকে বটি নিয়ে দোতলায় আসেন পারভেজ। মোবাইল নেয়ার জন্য নূরার মায়ের কক্ষের দরজার লক খোলার চেষ্টা করেন।


দরজা খোলার শব্দে নূরার মা জেগে ওঠেন। তিনি বাথরুম ও আশপাশে কেউ আছে কি-না খোঁজেন।

এ সময় ফাতেমা তাকে দেখে চিনে ফেললে চিৎকার দিতেই এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেন। তখন নূরা শব্দ পেয়ে ঘুম থেকে জেগে উঠলে তাকেও বটি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন পারভেজ।সবার মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য গলা কেটে দেন পারভেজ।


সবশেষে নূরার মায়ের গলায় স্বর্ণের চেইন, কানের দুল ও নাকফুল খুলে নেন। হাওরিনের কান থেকে দুটি স্বর্ণের রিং খুলে নেন। আলমারি খুলে দুটি স্বর্ণের চেইন, আংটি, একটি ডায়েরি, নূরার মায়ের রুম থেকে দুটি মোবাইল নেন পারভেজ। মোবাইল ও স্বর্ণালঙ্কার পায়জামার পকেটে রাখেন। এরপর হাত মুখ ধুয়ে গেট খুলে নিজের বাড়িতে চলে যান পারভেজ।