Bangladesh
Myanmar has become soft
অবশ্য এই আমন্ত্রণ আগে থেকেই ছিল জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আগেও ছিল। আমি বলেছিলাম, আমি যাব যখন রোহিঙ্গারা সবাই পৌঁছে যাবে। তাহলে ওদের ওখানে গিয়ে সাক্ষাৎ করতে পারব। তারা আবার বলেছে যে, আসেন। দেখা যাক কী করা যায়।’ আমন্ত্রণ পেলেও সফরের দিনক্ষণ ঠিক করেননি জানিয়ে মোমেন বলেন, ‘ফর্মালি বলেনি, ইনফর্মালি বলেছে। আমি চাই, তারা এখানে আসুক। তাদের যে লোকগুলো (রোহিঙ্গা) আছে তাদের সঙ্গে আলাপ করুক, ওদের প্রত্যাশাগুলো বুঝুক। তাহলে হয়ত প্রত্যাবর্তনটা সহজ হতে পারে।’
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে। এর মধ্যে সাড়ে সাত লাখই এসেছে ২০১৭ সালের অগাস্টে রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন শুরু হওয়ার পর।
মিয়ানমার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ হওয়ায় দুই দফা চেষ্টা করেও রোহিঙ্গাদের কাউকে রাখাইনে ফেরত পাঠানো যায়নি। কিন্তু মিয়ানমার প্রত্যাবাসন শুরু করতে না পারার জন্য বাংলাদেশকে দুষছে। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দিকেও অভিযোগের আঙুল তুল আসছে তারা। একে ‘মিথ্যাচার’ আখ্যায়িত করে গণ মাসে দুই দফা কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে।
২০১৭ সালের অগাস্টের পর রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে সেনাবাহিনীর অভিযানে যে হত্যা-ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াও চালানো হয়েছে, তার মধ্য দিয়ে ১৯৮৪ সালের আন্তর্জাতিক গণহত্যা কনভেনশন ভঙ্গ করার অভিযোগ করে সম্প্রতি জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করে পশ্চিম আফ্রিকার ছোট্ট দেশ গাম্বিয়া।
গত ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর দ্য হেগের পিস প্যাসেলে দুই পক্ষের শুনানি শেষে বিষয়টি আদেশের জন্য অপেক্ষমান রেখেছে আইসিজের বিচারক প্যানেল। দ্য হেগের আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণঘত্যার অভিযোগের শুনানিকে ‘ইতিবাচক’ হিসেবে বর্তনা করে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘এটা এখন বিশ্বজুড়ে প্রতিষ্ঠিত যে সেখানে বড় রকমের ঘটনা ঘটেছে। যেটা ইউএন হাই কমিশনার বলেছেন ক্লাসিক এক্সাম্পল অব ইথনিং ক্লিনজিং। সু চি কিন্তু বলেন নাই যে হত্যাযজ্ঞ হয় নাই। তিনি শুধু দোষটা অন্যের উপর দিতে চেয়েছেন।
ঘত্যাযজ্ঞ হয়েছে, সেটা তিনি অস্বীকার করেন নাই।’