Bangladesh
New additions to be made to the Navy: Bangladesh President
সেই মহান প্রত্যয়ের আলোকেই বর্তমান সরকারের উদ্যোগে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে অণ্যাধুনিক ফ্রিগেট ও করভেটসহ মোট ২৭টি যুদ্ধ জাহাজ সংযোজিত হয়েছে। ২০১১ সালে সংযোজিত নেভাল এভিয়েশন, স্পেশাল ওয়ার ফেয়ার ডাইভিং এবং স্যালভেজ কমান্ড বা ‘কমসোয়াডস’ এ বাহিনীর সক্ষমতাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
বাহিনীকে আধুনিক ও সত্যিকারের যুগোপযোগী ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে ২০১৭ সালে নৌবহরে যুক্ত হয়েছে দুটি সাবমেরিন। নৌবাহিনীর ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে শীঘ্রই চীন থেকে ২টি মিসাইল ফ্রিগেট এবং ২টি করভেট যুক্ত হবে নৌবহরে।
কইসাথে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক করভেট, মাইনহান্টার, ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ভেসেল ও সেইলিং ট্রেনিং শিপসহ বিভিন্ন জাহাজ ক্রয় ও নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। এছাড়াও নেভাল অ্যাভিয়েশনের জন্য মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্র্যাফট, অ্যান্টি সাবমেরিন হেলিকপ্টার ও লং রেঞ্জ মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্র্যাফট ক্রয়ের পরিকল্পনা আছে বলে জানান রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ।
রোববার সকালে বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে রাষ্ট্রপতির কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ এসব সম্ভাবনাময় উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরেন। এর আগে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বাংলাদেশ নেভাল একাডেমি প্রাঙ্গণে মিডশীপম্যান ২০১৬ ব্যাচ ও ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার (ডিইও) ২০১৮/বি ব্যাচের নবীন কর্মকর্তাদের শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে অংশ গ্রহণ করে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি।
কুচকাওয়াজের মধ্য দিয়ে নৌবাহিনীর ২০১৬ ব্যাচের ৫৯ জন মিডশিপম্যান ও ২০১৮/বি ব্যাচের ৭ জন ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসারসহ মোট ৬৬ জন নবীন কর্মকর্তা কমিশন লাভ করেন। এদের মধ্যে ৪ জন নারী, ১ জন মালদ্বীপ এবং ১ জন শ্রীলঙ্কার কর্মকর্তা।
কুচকাওয়াজ শেষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ চাই না। আমরা শান্তিকামী জাতি। তবে শান্তিকামী জাতি হলেও আত্মরক্ষা এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ আপসহীন। তিনি বলেন, সমুদ্র অঞ্চলের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে এবং সমুদ্র সম্পদ রক্ষার্থে একটি দক্ষ ও চৌকস নৌবাহিনীর বিকল্প নেই। আর তাই আধুনিক ও শক্তিশালী নৌবাহিনী গড়ে তোলার স্বপ্ন লালিত ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের চোখে। একটি যুগোপযোগী নেভাল একাডেমি প্রতিষ্ঠা ছিল বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্ন।