Bangladesh

New list to be made of Rajakars

New list to be made of Rajakars

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 17 Dec 2018, 05:43 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ডিসেম্বর ১৭: মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে সহায়তা করা রাজাকারদের তালিকা করতে সরকার এতদিন যে প্রক্রিয়ায় এগোচ্ছিল সেই প্রক্রিয়া ভেস্তে গেছে।

এখন নতুন প্রক্রিয়ায় হবে রাজাকারদের তালিকা। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করা ব্যক্তিদের সাধারণভাবে রাজাকার বলা হয়। পাকিস্তানিদের সহযোগী আরও দু’টি সংস্থার নাম ছিল আলবদর ও আল শামস।

 

পাকিস্তানিদের নানা অপকর্ম যেমন- হত্যা, ধর্ষণ, লুট, অগ্নিসংযোগের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছে তারা। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পর এত বছর পেরিয়ে গেলেও তাদের তালিকা করা হয়নি।


বর্তমান সরকার ভাতা প্রাপ্তির সূত্র ধরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসন ও থানায় থাকা নাম থেকে রাজাকারদের তালিকা করার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু তা ভেস্তে গেছে। এখন উপজেলা পর্যায়ে তিনটি কমিটি ও একটি কেন্দ্রীয় কমিটির মাধ্যমে রাজাকারদের তালিকা করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এজন্য আইনও প্রণয়ন করা হবে।


এ বিষয়ে প্রাথমিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনও নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী। আগের প্রক্রিয়ার ভেস্তে যাওয়ার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘রাজাকারের তালিকা করার ক্ষেত্রে আমরা প্রথমে আশা করেছিলাম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হয়তো তাদের তালিকা থাকবে। কারণ রাজাকাররা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ভাতা নিতেন। ১৯৯৬ সালে আমরা যখন সরকারে ছিলাম তখন এটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ছিল বলে শুনেছি।

 

২০০১ সালে বিএনপির সঙ্গে নিজামী-মুজাহিদরা যখন মন্ত্রী হয়েছেন তাদের লোকজনের প্রভাব-আধিপত্য দেশবাসীর জানা আছে। এরা খুব সুকৌশলে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সহায়তায় এগুলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে উধাও করে ফেলেছে। এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না। ৫ বছর আগে থেকেই আমি এ বিষয়ে খোঁজ নিয়েছি।’


তিনি বলেন, ‘রাজাকারদের তালিকা তদানীন্তন ১৭/১৮টি জেলায় ডিসি সাহেবদের কাছেও ছিল। আমরা ডিসিদের কাছেও তালিকা চেয়েছিলাম। মাত্র একটা জেলা থেকে তালিকা পেয়েছিলাম। এরপর আমরা তৃতীয় নির্ভযোগ্য স্থান ধরে নিয়েছি থানা। কিন্তু সেখান থেকেও রেকর্ড ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে, পাওয়া যায়নি।’


নতুন প্রক্রিয়া তুলে ধরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি উপজেলায় আমরা তিন পর্যায়ের কমিটি করব রাজাকারদের তালিকা করার জন্য। কারণ এই ৪৮ বছরে অনেক রাজাকারের সঙ্গে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক, আত্মীয়তা হয়ে গেছে। আমরা হয়তো তাদের নাম বাদ দিতে চেষ্টা করব। কেউ হয়তো রাজাকার ছিল না কিন্তু আমার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের অবনতি ঘটছে আমি তাকে রাজাকার বানানোর চেষ্টা করব। এই ধরনের প্রবণতা থাকতে পারে। নির্বাচনে আমরা যদি আসি ইনশাআল্লাহ আমরা এটা করার চেষ্টা করব।