Bangladesh
NGO employees are being paid for tackling Rohingya
বুধবার এক অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, গত সেপ্টেম্বর থেকে এই ছয় মাসেই এনজিওগুলোর কর্মকর্তাদের হোটেল বিল বাবদ খরচ করা হয়েছে ১৫০ কোটি টাকা। আর তাদের জন্য ফ্ল্যাট ভাড়ায় ব্যয় হয়েছে আট কোটি টাকা।
মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমনাভিযানের মুখে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে কয়েক মাসের মধ্যে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে ঊপকূলীয় জেলা কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই শরণার্থী সংকট মোকাবেলায় জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা ও দেশ সাড়া দিয়েছে। রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি ইউএনএইচসিআরসহ বিভিন্ন বিদেশি এনজিও কাজ করছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সময় এসব এনজিও’র অনেকগুলোর কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কমিটির সভাপতি মোজাম্মেল। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে আমরা লক্ষ করেছি সেখানে কিছু এনজিও আছে, যাদের উদ্দেশ্য সৎ নয়। গোয়েন্দা রিপোর্টেও তেমনটাই বলা হয়েছে। আপনারা শুনলে অবাক হবেন সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত হোটেল বিল দিয়েছে দেড়শ কোটির বেশি টাকা, আর ফ্ল্যাট বাড়ির ভাড়া দিয়েছে আট কোটির বেশি। এনজিওগুলো বিদেশ থেকে যে টাকা আনে সেটা যারা ভুক্তভোগী অর্থাৎ রোহিঙ্গা তাদের জন্য ‘পঁচিশ শতাংশও’ খরচ হয় না। ৭৫ শতাংশ খরচ করা হয় দেখাশুনা করার জন্য যারা আসে, তাদের জন্য।’
এ বিষয়টি খুব দুঃখজনক মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা আরও খতিয়ে দেখার জন্য গোয়েন্দা বাহিনীকে বলেছি বাস্তব অবস্থা কী তা বের করতে। যে অভিযোগ পেয়েছি তা যথাযথ নিরূপনের জন্য তাদেরকে অনুরোধ করা হয়েছে।’
রোহিঙ্গাদের দ্রুত ভাসানচরে স্থানান্তরে সরকারের ‘সর্বোচ্চ চেষ্টা’ রয়েছে বলে জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী।
ওই চরে রোহিঙ্গাদের নেওয়া নিয়ে জাতিসংঘের উদ্বেগ প্রকাশের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের দায়িত্ব কী? সরকারের দায়িত্ব তাদের (রোহিঙ্গা) আমাদের আশ্রয় দেওয়া, তাদের নিরাপত্তা দেওয়া, খাবার দেওয়া, অন্যান্য মানবিক দিকগুলো দেওয়া। তাদের কোথায় রাখব এটা বিদেশের ‘কনসার্নড' হওয়ার কথা নয়। তাদের কনসার্নড হওয়ার বিষয় তারা (রোহিঙ্গা) যেন মানবেতর জীবনযাপন যাতে না করে, লেখাপড়ার, চিকিৎসার সুযোগ আছে কি না? এ বিষয়ে তাদের তারা কনসার্নড থাকলে সরকার বিবেচনায় নেবে। কিন্তু কোথায় থাকবে সেটা বাংলাদেশর নিজস্ব ব্যাপার।’
আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর শুরু হচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার সাধ্যমতো চেষ্টা করছে। সেখানে আমাদের প্রস্তুতিও সম্পন্ন।