Bangladesh

Nine families from West Bengal take shelter in Bangladesh

Nine families from West Bengal take shelter in Bangladesh

| | 12 Apr 2018, 12:12 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, এপ্রিল ১২: পশিচমবঙ্গের কুচবিহার জেলার দিনহাটা থানার খারিদা খরিদাস গ্রামের ৯টি পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলায় আশ্রয় নিয়েছেন।

পঞ্চায়েত নিহতের ঘটনায় উত্তেজনা দেখা দেওয়ায় তারা বাংলাদেশে ঢুকে পড়েন।


বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি) জানায়, বুধবার (১১ এপ্রিল) মধ্যরাতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের  ৯২৯/৫ এস আন্তর্জাতিক পিলারের কাছাকাছি ভারতের কুচবিহার জেলার ওই বাসিন্দারা এদেশে আশ্যয় নিয়েছেন। এ ঘটনার পরপরই টহল জোরদার রেখে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী লোকজনকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে বিজিবি। বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) সকালে ফুলবাড়ী উপজেলার গোরকমন্ডলে এসব পরিবারকে অবস্থান করতে দেখা গেছে।

 

নাওডাংগা ইউনিয়ন পরিষদের গোরকমন্ডল এলাকার ইউপি সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রাণভয়ে যারা রাতেই বাংলাদেশে এসেছে, তাদের সীমান্তের কিছু কিছু বাড়িতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।’

 

ফুলবাড়ী সীমান্ডের দায়িত্বে থাকা লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি গোরকমন্ডল বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার হাবিলদার রেজাউল করিম জানান, ভারতীয় কুচবিহার জেলার দিনহাটা থানার একজন পঞ্চায়েত নিহত হওয়ার ঘটনায় কিছু ভারতীয় বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু আমরা সীমান্তে টহল জোরদার রেখেছি। বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয়দের অবস্থান বিষয়ে জানতে চাইলে এই কমান্ডার বলেন, ‘যারা প্রবেশের চেষ্টা করেছে, আমরা তাদের পুশব্যাক করেছি।’

 

খারিদা হরিদাস গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে শহিদুল হক, একই গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে শাহিন মিয়া, মোহাম্মদ আলীর ছেলে বদরু মিয়া, আব্দুল আজিজের স্ত্রী শফিয়া বিবি ও আশরাফ আলীর স্ত্রী বেনু বিবির ভাষ্য, ‘খারিদা হরিদাস গ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) মাদার দলের পঞ্চায়েত মো. আবু হোসেন মিয়াকে একই দলের যুব সংগঠনের সশস্ত্রকর্মীরা বুধবার (১১ এপ্রিল) দিবাগত রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে সেগুন বাগানে হত্যা করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই টিএমসি মাদার দলের কর্মীরা এসে আমাদের বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। আমরা প্রাণ বাঁচাতে রাতেই সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছি।’

 

বর্তমানে ভারতীয় ওই পরিবারগুলোর সদস্য মো. আশরাফ আলী, মো. শাহিন মিয়া, বদরু মিয়া, জহুরুল হক, মনসুর আলী, বাবলু মিয়া, আব্দুল মালেক, ফজলু রহমান, জামাল উদ্দিন, সফিয়া বিবি, এশমা বিবি, বেনু বিবি, ভারতীয় খারিদা হরিদা ভোরাম জুনিয়র হাইস্কুলের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী পিংকি খাতুন, ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী আর্বিনা খাতুন, গৃহবধূ হালিমাসহ অনেকে বাংলাদেশের গোরকমন্ডল এলাকার নামাটারী ও উচাটারী গ্রামে আশ্রয় নিয়েছেন।তারা জানান, পিংকি ও আর্বিনার পরীক্ষা চলছে। কিন্তু তারা দেশে যেতে পারছে না।