Bangladesh

বেশিদিন বাংলাদেশের মাটিতে স্থান দেওয়া যাবে না মিয়ানমার থেকে এই দেশে আসা নাগরিকদের, জানালেন হাসিনা

বেশিদিন বাংলাদেশের মাটিতে স্থান দেওয়া যাবে না মিয়ানমার থেকে এই দেশে আসা নাগরিকদের, জানালেন হাসিনা

| | 11 Sep 2017, 12:07 pm
ঢাকা, সেপ্টেম্বর ১১ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ আবার একবার বিশ্বের দরবারে জানিয়ে দিয়েছেন যে মিয়ানমার থেকে এই দেশে আসা নাগরিকদের বেশিদিন স্থান দেওয়া যাবে না।

উনি বলেন মানবিকতার কারণে তাদের এই মুহূর্তে স্থান দেওয়া হয়েছে এই দেশে।

 

হাসিনা এই কথাগুলি বাংলাদেশে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত সোফিকে জানিয়েছেন।

 

  ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীর সাথে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে  জাতীয় সংসদ ভবনে এসেছিলেন।

 

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম  আজ সাংবাদিকদের এই বিষয় জানিয়েছেন।

 

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিপীড়নের ফলে বহু বছর ধরে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন এই মানুষেরা।

 

এই দেশের এসেছেন আশ্রয়ের খোঁজে।

 

বহুবার এই মানুষদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মিয়ানমারকে  বলা হয়েছে।

 

তবে ফল কিছুই হয়নি।

 

এই বৈঠকের বিষয় ইহসানুল করিম বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা মানবিক কারণে মিয়ানমার নাগরিকদের স্থান দিয়েছি। তবে দীর্ঘ সময় ধরে রাখতে পারব না’।”
একটি গুরুত্বপূর্ণ  পদক্ষেপে, বাংলাদেশের সংসদে আজ রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে নাগরিকত্ব দিয়ে নিরাপদে বসবাস করার সুযোগ করে দিতে মিয়ানমারে উপর কূটনৈতিক চাপ দেওয়ার একটি প্রস্তাব পাস করা হয়েছে।

 

সোমবার দেশের জাতীয় সংসদে অধিবেশনে সর্বসম্মতভাবে এই প্রস্তাবটি গ্রহণ করা হয়েছে।

 

প্রসঙ্গত, মিয়ানমারে নিপীড়নের মুখে এই দফায় ৩ লাখের মতো রোহিঙ্গার পালিয়ে আসার প্রেক্ষাপটে আজকে এই প্রস্তাবটি গ্রহণ করে সংসদ।

 

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি আজকে এই প্রস্তাবটি সংসদে উত্থাপন করেন।

 

সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ ধারায় এই প্রস্থাবটি উপস্থাপন করা হয়।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংসদ সদস্যরা এই বিষয় আলোচনায় অংশগ্রণ করেন।

 

সংসদ সদস্যরা মিয়ানমারকে এই মানুষদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ দেন।

 

এই বিষয় কথা বলতে গিয়ে,পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেনঃ “মিয়ানমারের অভ্যন্তরে রোহিঙ্গাদের জন্য সেইফ জোন করতে হবে। বাংলাদেশে অবস্থান নেওয়া রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন করতে হবে। কফি আনান কমিশনের প্রতিবেদন বাস্তবায়ন করতে হবে।”

 

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতীগত নিপীড়নের শিকার হয়েছেন এই মানুষেরা।