Bangladesh

No Indian insurgent present in Bangladesh

No Indian insurgent present in Bangladesh

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 08 Sep 2018, 06:07 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, সেপ্টেম্বর ৮ : বাংলাদেশে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর কোনো অস্তিত্ব নেই। নয়াদিল্লীতে বিজিবি ও ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী-বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ে ৪৭তম সীমান্ত সম্মেলনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম এ কথা বলেন। একইসঙ্গে সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হতাহতের ঘটনা শূন্যের কোঠায় নেমে না আসায় তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালককের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেন। অপরদিকে ২০ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী কে কে শর্মা। সম্মেলনে বিএসএফ মহাপরিচালক ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীদের অনুসন্ধানে বিজিবিসহ বাংলাদেশি অন্যান্য সংস্থার সহযোগিতার প্রশংসা করেন। তিনি এবিষয়ে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানালে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘বাংলাদেশ কখনই তার ভূমি অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে ব্যবহারের সুযোগ দেয় না।’


সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হতাহতের ঘটনা রোধে বিএসএফ পদক্ষেপ নেওয়ায় বিজিবি মহাপরিচালক ধন্যবাদ জানালেও হতাহতের ঘটনা এখনো শূন্যের কোঠায় নেমে না আসায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। জবাবে বিএসএফ মহাপরিচালক বলেন, সীমান্তে হতাহতের ঘটনা এড়াতে বিএসএফ নন-লিথেল অস্ত্র ব্যবহার করছে। এমনকি সশস্ত্র সীমান্ত অপরাধীদের বিপদজনক আক্রমণের শিকার হয়েও বিএসএফ সর্বোচ্চ সহিষ্ণুতা প্রদর্শন ও ন্যূনতম শক্তি প্রয়োগের নীতি অনুসরণ করে যাচ্ছে। 


বিএসএফ মহাপরিচালক ভারতীয় জাল মুদ্রাপাচার রোধে সহযোগিতা দেওয়ার জন্য বিজিবিসহ বাংলাদেশের অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে মাদক, অস্ত্র ও স্বর্ণ পাচারসহ সবধরনের চোরাচালান বন্ধে একে অপরের গৃহীত পদক্ষেপ অব্যাহত রাখতে সম্মত হন।


উভয় মহাপরিচালক যশোর সীমান্তে ‘ক্রাইম ফ্রি জোনের’ কার্যকারিতার প্রশংসা করেন এবং অন্যান্য সীমান্তে পর্যায়ক্রমে ‘ক্রাইম ফ্রি জোন’ ঘোষণা করতে নীতিগতভাবে সম্মতি প্রকাশ করেন।
পরবর্তী মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিল ঢাকায় অনুষ্ঠানের বিষয়ে উভয় পক্ষ নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে।