Bangladesh
No need to panic about NRC: Modi tells Hasina
নিউইয়র্কের বাংলাদেশ মিশন জানিয়েছে, দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আন্তরিক পরিবেশে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এনআরসি প্রসঙ্গ উঠলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি একান্তই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এতে বাংলাদেশের চিন্তিত বা উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
সংবাদ সংস্থা বাসস জানিয়েছে, বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক বজায় রয়েছে। তাই এ ধরনের ইস্যু নিয়ে উদ্বেগের কিছুই নেই।’ উভয় নেতা তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. মোমেন বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে এই বৈঠক খুবই সৌহার্দ্য ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। এতে এনআরসি, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এনআরসি ইস্যুর কথা উল্লেখ করে বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য খুবই উদ্বেগের বিষয়। জবাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এনআরসি ও পানি বণ্টনের মতো ইস্যুগুলোকে আমরা সহজভাবে নিতে পারি। কারণ, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে।’ এ প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদি শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করে বলেন, ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিষয়টি নির্ধারণে কাজ করবে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
তবে কোনো বিষয়ে এ বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়নি জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী ৫ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে দুই নেতার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
বৈঠকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা স্মরণ নরেন্দ্র মোদি। তিনি এ সময় ন্যায়বিচার ও মানবতার পক্ষে বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ সংগ্রাম এবং সাধারণ মানুষের প্রতি তার শ্রদ্ধার কথাও গভীরভাবে স্মরণ করেন। উন্নত নৈতিক মূল্যবোধের কারণে বঙ্গবন্ধু মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম উচ্চ আসনে আসীন একজন নেতা বলেও মন্তব্য করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্ম ও আদর্শ তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারে। এজন্য তার জীবন ও কর্মকে আরও ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতি নরেন্দ্র মোদি যে মনোভাব দেখিয়েছেন, তার প্রশংসা করেন তিনি।