Bangladesh

No one can destroy Bengali culture: Hasina

No one can destroy Bengali culture: Hasina

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 22 Feb 2019, 10:21 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২৩: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোন অশুভি শক্তিই আর বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ভাষাকে ধ্বংস করতে পারবেনা বলে দৃঢ়আস্থা ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, দেশের জনগণ আজ বিশ্বে মর্যাদা নিয়ে বাঁচার জন্য ঘুরে দাাঁড়িয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের যা কিছু অর্জন তার সবই সংগ্রামের মধ্যদিয়ে অর্জিত হয়েছে। পাকিস্তানী শাসকগণ এবং ’৭৫ পরবর্তী শাসকেরা বাংলাদেশের ভাষা ও সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। ভবিষ্যতেও কেউ বাংলার জনগণকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না।’


প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটস্থ বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষ্যে বাংলদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণে একথা বলেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয় বারের মত সরকারে এসেছে। অর্থাৎ জনগণের যে আস্থা ও বিশ্বাস আমরা অর্জন করেছি সেই বিশ্বাসের মর্যাদা আমাদের দিতে হবে।


হাসিনা বলেন, ‘উন্নয়ননের যে ধারাটা আজকে সূচিত হয়েছে এ ধারা অব্যাহত রেখে বাংলাদেশকে আমাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। যে বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশের স্বপ্ন জাতির পিতা দেখেছিলেন। আর সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’


সরকার প্রধান বলেন, একটানা ১০ বছর ক্ষমতায় থেকে তাঁর সরকার উন্নয়ন করতে পেরেছে বলেই আজকে উন্নয়নটা দৃশ্যমান হচ্ছে। বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশ একটা সম্মান পেয়েছে, মর্যাদা পেয়েছে এবং উন্নয়নের রোল মডেল হিসিবে স্বীকৃতি পেয়েছে।


প্রধানমন্ত্রী এ সময় ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের সময় বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত দেশ হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত হবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ২০৪১ সালে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে আভির্ভূত হবে এবং দেশের টেকসই উন্নয়ন ও জনগণের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে একশ’ বছরের বদ্বীপ পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাবে।


শেখ হাসিনা বলেন, লড়াইয়ের মধ্য দিয়েই আমরা আমাদের এই দাবি আদায় করতে পেরেছি। মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার পেয়েছি। এই মাতৃভাষা বাংলার পরিবর্তে পাকিস্তানের একটি গোষ্ঠীর ভাষা উর্দ্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য পকিস্তানী শাসকেরা বহু খেলা খেলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা স্কুলে পড়ার সময় দেখেছেন- বাংলা অক্ষরের পরিবর্তে আরবী হরফে এবং পরে রোমান হরফে বাংলা লেখানোর চেষ্টা করা হয়। যেটার প্রতিবাদও ছাত্ররা করেছে।