Bangladesh

No quota in Bangladesh government service

No quota in Bangladesh government service

| | 11 Apr 2018, 10:27 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, এপ্রিল ১১ : বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোন কোটা থাকছে না। এমনকি নারীদের জন্য সংরক্ষিত ১০ ভাগ কোটাও বিলুপ্ত হচ্ছে।

সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দেলনের প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ঘোষণা দেন।


সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থার সংস্কার দাবিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর তারা আগামীকাল সকাল ১০টায় তাদের সিদ্ধান্ত জানাবার ঘোষনা দিয়েছে।


বাংলাদেশে বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থায় প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর জন্য শতকরা ৫ ভাগ, প্রতিবন্ধীদের জন্য এক ভাগ এবং মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পোষ্যদের জন্য শতকরা ৩০ ভাগ কোটা রয়েছে। এছাড়া জেলা কোটা ১০ শতাংশ এবং নারী কোটা ১০ শতাংশ। সব মিলিয়ে মোট কোটা ৫৬ শতাংশ। তৃতীয় ও তার নিচের পদবির পদগুলোতে কোটা বৈষম্য আরও বেশি।


বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার ইস্যুতে প্রথমবারের মতো সরাসরি কথা বললেন। সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে বলেন, ‘কোটা পদ্ধতিই বাতিল।’


শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোটা নিয়ে যখন এতকিছু, তখন কোটাই থাকবে না। কোনও কোটারই দরকার নেই।’


তার ভাষ্য, ‘কোটা থাকলেই সংস্কারের প্রশ্ন আসবে। এখন সংস্কার করলে আগামীতে আরেক দল আবারও সংস্কারের কথা বলবে। কোটা থাকলেই ঝামেলা। সুতরাং কোনও কোটারই দরকার নেই।’


শেখ হাসিনার সাফ কথা, ‘কোটা ব্যবস্থা বাদ, এটাই আমার পরিষ্কার কথা।’


বক্তব্যের শুরুতে তিনি বলেন, ‘এখন কোটা সংস্কারের নামে ছাত্ররা রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলনে নেমেছে। তারা রাস্তায় বসে আছে, যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে, রোগীরা হাসপাতালে যেতে পারছে না।

ডিজিটাল বাংলাদেশ আমিই তৈরি করে দিয়েছি, এখন সবাই ফেসবুক, ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তির শিক্ষা ব্যবস্থা আমিই চালু করেছি। এখন সেগুলো ব্যবহার করে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।’


প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্ররা দাবি করেছে, আমিও বসে থেকেনি। মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে পাঠিয়েছি। তিনি ছাত্রদের সঙ্গে বসেছেন। আমি ক্যাবিনেট সেক্রেটরিকে নির্দেশ দিয়েছি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে।

 

মন্ত্রী তাদের সঙ্গে বসল, একটা সমঝোতা হলো। অনেকে মেনে নিল কিন্তু অনেকে মানল না। টিএসসিতে অনেকে থেকে গেল, কেন? যখন আলোচনা হয়েছে, কথা হয়েছে তাহলে কেন চারুকলায় অবস্থিত মঙ্গল শোভাযাত্রা পুড়িয়ে তছনছ করা হলো। আর মেয়েরাও হল থেকে বেরিয়ে আসল, আমি সারা রাত ঘুমাতে পারিনি। নানককে পাঠালাম, আলোচনা করল, তাদের ফিরে যাওয়ার কথা বলা হলো কিন্তু তারা মানল না, আন্দোলন চালিয়ে গেল।’


শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা একটা নীতি নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করি। যারা আন্দোলনে নেমেছে তারা আমার নাতীর বয়সী, তাদের ভালো কিসের, আমরা তো ভালো জানি।’ তিনি বলেন, ‘আমি তো খুশি, আমি নারীর ক্ষমতায়নে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছি, মেয়েরা যখন চায় না তাহলে কোটার দরকার নাই’।