Bangladesh
Not feeling to vote is not a positive sign towards democracy: Kader
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে সরাসরি নি কার্যলয়ে এসে ব্রিফিং করেন কাদের। এ সময়ও তার বাম হাতে ক্যানুলা লাগানো ছিল।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন হলো, দেশের ইতিহাসে এত কম ভোটার কখনও হয়নি। এ বিষয়টি কীভাবে মূল্যায়ন করছেন- জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মূল্যায়ন করার জন্য আমরা ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং করব। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরে এলে এই মিটিং হবে। সেখানে নির্বাচন নিয়ে বীক্ষণ-পরিবীক্ষণ, আমাদের অরজারভেশন, পর্যবেক্ষণ নিয়ে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করব। এ রকমই চিন্তা-ভাবনা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘নেত্রীর সঙ্গে পরশুদিন ফোনে যখন কথা হয়, তিনি আমাকে বলেছিলেন ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং করা জরুরি।’ ‘ইভিএমে এত বড় এলাকায় নতুন অভিজ্ঞতা। এর আগে বিচ্ছিন্ন-বিক্ষিপ্তভাবে ইভিএমের ব্যবহার হয়েছে। নতুন অভিজ্ঞতায় প্রায়োগিক বাস্তবতায় কিছু ভুলত্রুটিও থাকতে পারে। তবে যারা ভোট দিয়েছেন অনেকেরই প্রতিক্রিয়া হচ্ছে খুব সহজে ভোট দিতে পেরেছেন। এত বড় এলাকায় দু-একটি জায়গায় হয়তো ভুলত্রুটি হয়েছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা ভাবনার বিষয়, আমাদের আওয়ামী লীগের এত জনসমর্থন, সেখানে আরও বেশি ভোট আশা করেছিলাম। আওয়ামী লীগের যে পার্সেন্টেজ সেই তুলনায় তো উপস্থিতি আশানুরূপ নয়। দুই-তিনদিন ছুটি থাকার কারণেও অনেকে চলে গেছেন।
পরীক্ষার জন্য অনেকের বাচ্চা-কাচ্চা আছেন দেশে। হয়তো গ্রামের বাড়িতে চলে গেছে। পরিবহন সংকটও কিছুটা দায়ী।
তারপরও আমি মনে করি একটা ভালো নির্বাচন হয়েছে। বর্তমানের ভুলগুলো ভবিষ্যতের ইলেকশনে এড়ানো যাবে। বিএনপি যে অবস্থায় নির্বাচন করেছে তাদের পার্টির মূল নেতৃত্ব নেই। আমার মনে হয় তারা ভালো করেছে। বিএনপির যে পারফরমেন্স তারা এই ভোটের মধ্যেও তাদের ভোট সংখ্যা একেবারে কম নয়।
অনেক ভোট পেয়েছে। সেই দিক থেকে বিরোধী দল হিসেবে তারা ভোটে একেবারে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে এমন নয়। তারা ভালো ভোট পেয়েছে। এটা গণতন্ত্রের জন্য ভালো।’