Bangladesh

NRC: Many Indians trying to enter Bangladesh
Amirul Momenin

NRC: Many Indians trying to enter Bangladesh

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 23 Nov 2019, 05:59 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, নভেম্বর ২৩ : সম্প্রতি ভারত সরকার সেদেশের আসাম রাজ্যে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) প্রকাশ করে। সেখানে নাম না থাকায় নির্যাতনের ভয়ে ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে অনেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে বলে জানিয়েছে বিজিবি ও জেলা প্রশাসন। তবে এসব অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ঠেকাতে সীমান্তে কঠোর নজরদারি করছে বিজিবি।

অপরদিকে, আটকরা জানিয়েছেন সীমান্তের ওপারে অপেক্ষমাণ আরও অসংখ্য নারী-পুরুষ। তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে সুযোগের অপেক্ষায় আছেন। অন্যদিকে, গত দুই সপ্তাহে এ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার সময় ২১৪ জনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এর মধ্যে গণ দুই দিনে আটক হয়েছে ১১ জন। আটকদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ, ৩ জন নারী ও ৩ জন শিশু।


ভারত সীমান্তবর্তী গ্রামগুলো দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে স্থানীয় পর্যায়ে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহেশপুর উপজেলা প্রশাসন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন পরিষদগুলোর (ইউপি) চেয়ারম্যানদের নেতৃত্বে ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হবে। এসব কমিটি সীমান্ত এলাকায় অপরিচিত কোনো ব্যক্তি দেখলেই নিকটবর্তী বিজিবির সদস্যদের কাছে খবর পৌঁছে দেবে।


বিজিবির ভাষ্য, আটক হওয়া ব্যক্তিদের বেশিরভাগই ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের রাজধানী বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। আটকরা বিজিবিকে জানিয়েছে, ভারতে জাতীয় নাগরিক তালিকার (এনআরসি) আতঙ্ক ও নানা চাপের কারণে তারা ভারত ছেড়েছেন। মহেশপুর উপজেলায় ভারতীয় সীমান্ত এলাকা রয়েছে ৫৭ কিলোমিটার। এর মধ্যে কাঁটাতারবিহীন এলাকা রয়েছে প্রায় ১১ কিলোমিটার। কাঁটাতারবিহীন এলাকা দিয়েই বেশি অনুপ্রবেশ হচ্ছে বলে বিজিবি ও পুলিশ জানিয়েছে।


বিজিবির হাতে আটক আদালতে সোপর্দ হওয়া কয়েকজন জানান, আমাদের কোনো নাগরিকত্ব ছিল না। ভারতেও গিয়েছিলাম পাসপোর্টবিহীন অবস্থায়। এখন দালাল ধরে চলে এসেছি। কারণ মালিকরা আমাদের টাকা-পয়সা দেন না।


বিজিবির হাতে আটক এক নারী জানান, মোদী যখন ঘোষণা করেছে এরা থাকবে না।

এরপর থেকে আমরা যাদের বাড়িতে কাজ করতাম তাদের বাড়িতে সরকার লোক পাঠিয়েছে। সরকারের লোকজন বলেছে, দেখো তোমরা তো কাজ করো, তোমরা মুসলিম, বাংলাদেশি, তোমাদের কাজ করতে দেবে না। তাই এখন কি করা যাবে তোমরা যেখান থেকে এসেছো সেখানে চলে যাও। বাঙালি এখানে থাকবে না, তোমরা যদি আমার ধর্ম পালতে পারো তাহলে থাকতে পারো। তখন আমরা বলেছি তোমার ধর্ম পালতে পারবো না আমরা থাকবো না।