Bangladesh
মসজিদের বিস্ফোরণে দগ্ধ সালমার পাশে ইউএনও
৮ সেপ্টেম্বর তল্লা মসজিদে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে আহত সালমা বেগমের বাড়িতে গিয়ে সাহায্য করেন ইউএনও নাহিদা বারিক। এ সময় সালমা বেগমের খোঁজখবর নেন তিনি।
শুক্রবার তল্লা মসজিদে নামাজের সময় সময় সালমা বেগম অসুস্থ স্বামীর জন্য ওষুধ আনতে গিয়ে মসজিদের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় বিস্ফোরণে শরীর ঝলসে যায়। তিনি ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিট হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে বাসায় অবস্থান করছেন।
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে সালমা বেগম বলেন, এলাকায় তখন বিদ্যুৎ ছিল না। অন্ধকারের মধ্য দিয়েই আমার ও স্বামীর জন্য ওষুধ আনতে ফার্মেসিতে যাচ্ছিলাম। আর ফার্মেসিতে যেতে হলে মসজিদের সামনে দিয়েই যেতে হয়। কারণ রাস্তায় পানি। যখনই মসজিদের সামনের গেট পর্যন্ত পৌঁছাই তখনই একটি আগুনের ফুলকি এসে আমাকে ধাক্কা দিয়ে পানিতে ফেলে দেয়। আমার শরীরে আগুন লাগছে আমি দেখিনি। পাশের বাসায় গিয়ে পানি ঢালি। শরীরের কাপড় ছিড়ে যায়।
এই অবস্থায় কোনোরকম দৌড়ে বাসায় এসে আমার স্বামীকে বলি আমার শরীর জ্বলে গেছে। তখন স্বামী বললো তোমার শরীর জলবে কেন। আমি বললাম মসজিদে কি জানি হয়েছে। পরে কাপড় খুলে দেখি আমার শরীরের এক সাইট ঝলসে গেছে।
সালমা বেগমের স্বামী ইলেকট্রিক মিস্ত্রী মো. আমির বলেন, আমি এদিন অসুস্থ অবস্থায় বাসায় শুয়েছিলাম। তাই আমার স্ত্রী আমার ও তার জন্য ওষুধ আনতে যায়। কিছুক্ষণ পরে দেখি সে ওষুধ না এনে ভেজা কাপড়ে দৌড়ে বাসায় এসে বলছে আমার শরীর ঝলসে যাচ্ছে। পরবর্তীতে তাকে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে চিকিৎসা দিয়ে এখন বাসায় নিয়ে আসা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ইউএনও নাহিদা বারিক বলেন, এমন ঘটনা কখনও দেখিনি। খুব কাছ থেকে মৃত্যু যন্ত্রণা আমি দেখেছি। চোখের সামনে দগ্ধ মানুষগুলো একে একে নিশ্বাস ত্যাগ করেছে। চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। এরপর মৃতদেহগুলো কফিনে করে স্বজনদের বুঝিয়ে দেয়া নিয়ে অনেক ব্যস্ত সময় অতিক্রম করতে হয়েছে।