Bangladesh

Number of deaths due to lightining increasing in Bangladesh

Number of deaths due to lightining increasing in Bangladesh

| | 25 Apr 2018, 09:25 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, এপ্রিল ২৬ বাংলাদেশে বিগত বছরগুলোতে বজ্রপাত এবং বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

বায়ু দূষণ এবং উষ্ণতা বৃদ্ধিকে এ জন্য দায়ি করা হচ্ছে। প্রতিবছর মার্চ থেকে মে মাসের শেষ পর্যন্ত বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।


বিশেষজ্ঞদের মতে বায়ু দূষণের কারণে বজ্রপাত বাড়ছে। আর যাপিত জীবনে ধাতব বস্তুর ব্যবহার বেড়ে যাওয়া এবং বজ্রপাত নিরোধক গাছের অভাবের কারণে মৃত্যুর হার বেড়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণের কোনও উপায় নেই। তবে কিছু পদক্ষেপ নিয়ে নিরাপদ থাকা যেতে পারে।


বর্তমান সময়ে বজ্রাঘাতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ২০১০ সাল থেকে বজ্রপাতকে আলাদাভাবে দুর্যোগ হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে এটি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে, মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত বজ্রাঘাতে একদিনে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন। বাংলাদেশে গড়ে ৮০ থেকে ১২০ দিন বজ্রপাত হয়। প্রতিবছর মার্চ থেকে মে পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রতি বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ৪০টি বজ্রপাত হয়।


বাংলাদেশ দুর্যোগ ফোরামের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৭ সালে বজ্রপাতে ২৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে ২০১৬ ও ২০১৭ সালেও মৃতের সংখ্যা দুই শতাধিক ছিল। এবছর কেবল এপ্রিলেই মারা গেছেন ৩০ জন। ২০১০ থেকে গত ছয় বছরের হিসাব বলছে, একেবারেই নজর না দেওয়া এই দুর্যোগে নিহতের সংখ্যা প্রায় এক হাজার।


প্রতিবছর এসময় অনেক বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। বায়ু দূষণ, বাতাসে কার্বন ও লেড-এর পরিমাণ বেড়ে যাওয়া এর একটি বড় কারণ। যা কিনা বায়ুকে উত্তপ্ত রাখে। কার্বন লেডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় অন্যান্য আরও যেসব উপাদান মেঘ তৈরিতে সহায়ক, সেগুলো সক্রিয় থাকে এবং বজ্রপাত বেশি হয়।


দুর্যোগ ফোরামের সমন্বয়ক বলেন, ‘বায়ু দূষণের সঙ্গে বজ্রপাতের সম্পর্ক আছে। বাতাসে যত কার্বন যাবে, বজ্রপাতের সংখ্যা তত বাড়বে। আর বাংলাদেশে বায়ু দূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে। এছাড়া, রয়েছে গাছ ও বনাঞ্চল ধ্বংস করে ফেলা।’ বড় গাছের অভাব একটা বড় কারণ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘শহরে ঘরবাড়ির সংখ্যা বেশি ও বজ্রনিরোধক থাকায়, বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা কম হয়। কিন্তু গ্রামে এই নিরোধক হিসেবে কাজ করতো যেসব গাছ, তার সংখ্যাও দিন দিন কমে যাচ্ছে বলে গ্রামাঞ্চলে বজ্রপাতে প্রাণহানী বেশি ঘটছে। আগে কৃষিতে ধাতব যন্ত্রপাতির ব্যবহার ছিল না বললেই চলে। কৃষকের কাছে বড়জোড় কাস্তে থাকতো। কিন্তু এখন ট্রাক্টরসহ নানা কৃষি যন্ত্রাংশ বা মুঠোফোনের মতো ধাতব যন্ত্রপাতির ব্যবহার বেড়ে গেছে। এসব ধাতব বস্তুর ব্যবহার বজ্রপাতে বেশির ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি করছে’।

 

Image: WIkimedia Commons