Bangladesh
Nur attack: Two leaders of MuktiJuddho Mancha arrested
এই ঘটনায় সোমবার মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
হামলার সময় সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনসহ দু’জনকে ডাকসু ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলার পৌনে এক ঘণ্টা পর প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। আহতদের উদ্ধার করে তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। হামলার প্রমাণ মুছে ফেলতে ডাকসু ভবনে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ ছিনতাই করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুপুর ১২টার দিকে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে ডাকসু ভবনের দিকে যায়। একই সময় সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ২০-২৫ জনকে নিয়ে ভিপি নূর ডাকসু ভবনের দিকে যান।
একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয় এবং ডাকসু ভবনে নিজের কক্ষে ভিপি নূর চলে যান। অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা মধুর ক্যান্টিনের গোলঘরে জড়ো হন। কিছুক্ষণ পর নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ডাকসু ভবনের সামনে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজীত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন। দুটি সংগঠনের কর্মীরা তখন ডাকসু ভবনের দিকে ইটের টুকরা নিক্ষেপ করতে শুরু করে। এ সময় ভিপির নির্দেশে ডাকসু ভবনের কর্মীরা ভবনের মূল গেটে তালা লাগিয়ে দেন। তখন পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম গিয়ে ডাকসুর গেট খুলে ভেতরে প্রবেশ করেন।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সনজিত। ভিপির কক্ষে প্রবেশ করে সাদ্দাম জানতে চান, কেন বহিরাগতদের নিয়ে তিনি (ভিপি নূর) ডাকসুতে এসেছেন। তখন নূর বলেন, তিনি সব সময় হামলার আশঙ্কার মধ্যে থাকেন। এ কারণে নিজের নিরাপত্তার জন্য অনেককে সঙ্গে রাখেন।
সনজিত ও সাদ্দাম বের হওয়ার পর সেখানে দফায় দফায় হামলা করা হয়। ভিপির কক্ষে কয়েকজনকে আটকে রেখে ও লাইট বন্ধ করে মারধর করা হয়। হামলায় মারাত্মক আহত হন ভিপি নূর। তিনি কয়েকবার বমিও করেন। সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাকর্মীদের ডাকসু ভবনের বাইরে এনেও হামলা করা হয়।