Bangladesh

Nusrat Murder: Bangladesh protests

Nusrat Murder: Bangladesh protests

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 15 Apr 2019, 11:43 pm
ঢাকা, এপ্রিল ১৬ঃ দেশে মেয়েদের ও মায়েদের বিরুদ্ধে অন্যায় হলে গর্জে ওঠে জাতি।

ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির মৃত্যুর ঘটনাটি এমন একটি অধ্যায় যেখানে মানুষ প্রতিবাদ করেছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে।


বহু জল পার হয়ে, আজ পুলিশ

 

মূল সন্দেহভাজন নুর উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে।

 


হয়তো নুসরাত আর নেই, এপ্রিল ১০  তারিখে সে মারা যায়, তবে মানুষের প্রতিবাদ চলছে।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে চেয়েছেন খুনিদের শাস্তিঃ

 

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত খুনিরা ছাড় পাবে না। শুক্রবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সূচনা বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, ‘খুনিদের কয়েকজন ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে। অন্যরাও শিগগির গ্রেফতার হবে।’

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি যে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের জঘন্য অপরাধ করতে না পারে।’ তিনি বলেন, ‘কোন কারণ ছাড়া একজন মাদ্রাসা ছাত্রীকে একজন অধ্যক্ষের আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করার মতো জঘন্য ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা আমার নেই।’


নুসরাতের জীবন বাঁচাতে সরকারের প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মেয়েটিকে বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। এমনকি আমরা মেয়েটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর পাঠাতে সেখানকার চিকিৎসকদের মতামত নিয়েছি কিন্তু আমরা কোনো ইতিবাচক সাড়া পাইনি।’ গত ৬ এপ্রিল ফেনীর একটি মাদ্রাসায় গায়ে আগুন দেয়ার পর নুসরাত ১০ এপ্রিল মৃত্যুর সাথে লড়াইয়ে হেরে যায়।


এসময় প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করেন যে ২০১৩ ও ২০১৫ সালে জাতীয় নির্বাচন বানচাল এবং নির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানোর নামে বিএনপি-জামায়াত জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করার সংস্কৃতি চালু করে।


১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় বাড়ি-ঘরে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যাকারী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পদাঙ্ক অনুসরণ করে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট বাস, ট্রাক, কার ও ট্রেনে আগুন সন্ত্রাস চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে।

 

ঘটনাটি কি?


নুসরাত জাহান রাফি সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিমের পরীক্ষার্থী ছিলেন। ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে এর আগেও ওই ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে। নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা করেন।


এরপর অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে নুসরাতের পরিবারকে হুমকি দেয়া হচ্ছিল। এর মধ্যে ৬ এপ্রিল (শনিবার) সকাল ৯টার দিকে আলিম পর্যায়ের আরবি প্রথমপত্র পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে যান নুসরাত। এ সময় তাকে কৌশলে একটি বহুতল ভবনে ডেকে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সেখানে তার গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়।