Bangladesh
কোন মুখে ভোট নেবেন তারাঃ জিয়াকে হামলা করে বলেন হাসিনা
উনি বলন যে দেশের মানুষ জিয়াকে আর ভোট দিয়ে ক্ষমতায় পাঠাবেন না।
হাসিনা এই কথাগুলি বিজয় দিবস ও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রোববার বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় নিজের বক্তব্য রাখার সময় বলেন।
হাসিনা বলেনঃ “বাংলাদেশের জনগণ এই স্বাধীনতাবিরোধী, দুর্নীতিবাজ, আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা এবং যুদ্ধাপরাধীদের মদদদানকারী; এদেরকে কখনও বাংলাদেশের মানুষ ভোটও দেবে না, এরা কোনোদিন ক্ষমতায় আসতেও পারবে না।”
উনি জিজ্ঞেসা করেন যে যারা দেশের উন্নয়ন চান তারা কি এই মানুষদের ভোট দিতে পারেন।
একটি প্রশ্ন বাংলাদেশের মানুষের সামনে ছুড়ে দিয়ে হাসিনা বলেনঃ "“যারা এই দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতি চান, যারা এই দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নতি চান, উন্নতি যারা চান; তারা কি কখনও ওই যুদ্ধাপরাধীদের লালন-পালন করা বা তাদেরকে মন্ত্রী বানানো বা যারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করে, তাদের সমর্থন করতে পারে? না ভোট দিতে পারে?
নিজের বক্তব্যে আজ হাসিনা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমানের বিদেশে অর্থ পাচারের দায়ে আদালতের সাজার কথাও তুলে ধরেন।
এই সমস্ত তথ্য তুলে ধরে উনি বলেন যে বি এন পি এখনও কি করে মানুষের কাছে ভোট চাইতে পারে।
"কোন মুখে তারা জনগণের কাছে গিয়ে দাঁড়াবে। কোন মুখে জনগণের কাছে গিয়ে ভোট চাইবে," বিএনপিকে হামলা করে হাসিনা বলেন।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতাবিরোধীদের পুনর্বাসনের বিষয়টিকে তুলে ধরে হাসিনা বলেনঃ "পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে হত্যার পর যুদ্ধাপরাধে সাজাপ্রাপ্ত সকল আসামিকে মুক্তি দেওয়া হয়। তাদের রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া হয়। যারা পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছিল, তাদেরকেও ফেরত আনা হয়।"
উনি আরও বলেনঃ "কী দুর্ভাগ্য এদেশের! যারা যুদ্ধ করল, যারা রক্ত দিল, তারাই অপরাধী হয়ে গেল! আর যারা হানাদার পাকিস্তানিদের দালালি করল, যারা গণহত্যা চালাল, যারা মা-বোনদের ধর্ষণ করল, তাদেরই ক্ষমতায় বসানো হল।”
উনি দেশের মানুষকে আশ্বাস দিয়ে বলেন আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখলে উন্নয়নের পথ আরও প্রশারিত হবে।
"বাংলারে মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না," হাসিনা বলেন।