Bangladesh

গ্যাস পাইপলাইনে ৬টি ছিদ্র, মসজিদ কমিটির ওপর দায় চাপালো তিতাসের তদন্ত কমিটি
নারায়ণগঞ্জের সেই মসজিদের সামনের গ্যাস লাইন পরীক্ষা (ফাইল ছবি)।

গ্যাস পাইপলাইনে ৬টি ছিদ্র, মসজিদ কমিটির ওপর দায় চাপালো তিতাসের তদন্ত কমিটি

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 10 Sep 2020, 12:07 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ : নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্যাসের লিকেজ অনুসন্ধানে তৃতীয় দিনেও খোঁড়াখুঁড়ি করে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। এসময় গ্যাসের পাইপ লাইনে ৬টি লিকেজ পাওয়া গেছে। বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিতাসের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক আব্দুল ওয়াহাব তালুকদার। আজ বৃহস্পতিবার তিতাসের তদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দফতরে জমা দেওয়া হবে।

তিনি জানান, অনুসন্ধানে পাওয়া ৬টি লিকেজ মেরামত করে সন্ধ্যা ৬টায় বন্ধ গ্যাস লাইনে গ্যাস সররবাহ চালু করে মসজিদের ভেতরে পানি ঢেলে গ্যাসের উদগীরণ বা বুদবুদ বের হয় কিনা তা পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ পরেও কোনও বুদবুদ দেখা যায়নি বলে তিনি দাবি করেন।

 

এসময় মসজিদ কমিটির ওপর সকল দায় চাপিয়ে তিতাস গাসের তদন্ত দলের প্রধান গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, মসজিদ নির্মাণের সময় মসজিদ কমিটি রাজউক, তিতাস, বিদ্যুৎ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট কোনও দফতরের অনুমোদন নেয়নি। তারা নিজেদের ইচ্ছামাফিক মসজিদ নির্মাণ করেছেন।

 

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক আব্দুল ওয়াহাব তালুকদার বলেন, গত তিনদিন ধরে মসজিদের উত্তর পাশে ও পূর্ব পাশে এবং দক্ষিণ পাশে বেশ কয়েকটি গর্ত খুঁড়ে লিকেজ অনুসন্ধান করা হয়। বুধবার সকাল থেকে মসজিদের পূর্ব পাশের অংশে ভেকু দিয়ে ও শ্রমিক দিয়ে মাটি খুঁড়ে দেখা যায়, মসজিদের উত্তর পাশের ৪নং খুঁটির কলাম করার সময় যে ফাউন্ডেশনের কাজ করা হয়েছে সেসময় তিতাস গ্যাস সরবরাহের মূল লাইনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মসজিদ নির্মাণের সময় গ্যাস লাইনের সরবরাহ স্বাভাবিক ছিল। ফাউন্ডেশন দেওয়ার সময় গ্যাস পাইপলাইন থেকে ৬ ইঞ্চি রাস্তার ভেতরে এসে ৪নং খুঁটির ফাউন্ডেশন দেওয়া হয়েছে। সেসময় মূল গ্যাস লাইনটি মাটির ওপরে রেখে মাটির নিচ দিয়ে ফাউন্ডেশনের কাজ করতে গিয়ে মূল সরবরাহ গ্যাস লাইনের রেপিন নষ্ট করে ফেলে-যা দীর্ঘদিন মাটির সংস্পর্শে এসে ফুটো বা ছিদ্র হয়েছে। সেখান থেকে লিকেজ হয়ে গ্যাস নির্গত হয়েছে এবং অন্যান্য ৬টি জায়গায় লিকেজ সৃষ্টি হয়েছে। এসব লিকেজ বা ছিদ্র দিয়ে গ্যাস নির্গত হয়ে মাটির বিভিন্ন স্তর ভেদ করে মসজিদের ভেতরে বা বাইরে দিয়ে গ্যাস বের হয়েছে।