Bangladesh
OikyoFront has problems internally
মনোনয়ন নিয়ে নানা কৌশলে রাজনৈতিক দলগুলো। কী হবে নির্বাচনে? সেই আলোচনা এখন সর্বত্র। তবে রাজনীতির আলোচনায় এখন অধিক গুরুত্ব পাচ্ছে জোটগুলোর প্রতি আস্থা-অনাস্থার বিষয়টি।
বিশেষ করে নতুন গঠন হওয়া জোট ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে এখন জোর আলোচনা চলছে। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টে ভর করেছে প্রধান বিরোধী শক্তি বিএনপি-জামায়াত। এতে যেন বদলে গেছে রাজনীতির দৃশ্যপট। ঐক্যফ্রন্টের হাত ধরে বিএনপির রাজনীতিতে গতি ফিরলেও মনোনয়ন নিয়ে সংকট কাটেনি এখনও। বিশেষ করে প্রার্থী চূড়ান্তে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষে নেতৃত্বে আস্থা তৈরি হলেও তৃণমূলে অনাস্থা বাড়ছে।
ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলগুলোর মনোনয়নপ্রত্যাশী অনেকেই মনে করছেন, যোগ্যতা থাকলেও তারা বিএনপির কাছে কোণঠাসা প্রায়।
কেন্দ্রীয় নেতারা যথাযথভাবে দরকষাকষি করতে পারছেন না বলে মনোনয়ন নিয়ে অসন্তোষ বিরাজ করছে কোনো কোনো দলে। তারা বলছেন, প্রতিটি আসনে বিএনপি একাধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়ে ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে অধিকতর চাপ সৃষ্টি করে রেখেছে। এটি তাদের নির্বাচনী কৌশল হলেও শরিকদের জন্য মোটেও সুবিধার নয় বলে কেউ কেউ মনে করছেন।
তবে ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতারা অসন্তোষ বা অনাস্থার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
তারা মনে করেন, জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সবার মন জয় করা সম্ভব নয়। টানাপোড়েন থাকবেই। তবে আলোচনার ভিত্তিতে ভালো কিছু হবে সামনে- তা প্রত্যাশার সময় এসেছে।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের শরিকদের জন্য সর্বোচ্চ ৬০ আসনে ছাড় দেয়ার অনানুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে বিএনপি ৩০০ আসনেই তাদের মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে। এমন পরিস্থিতি ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ‘ঘোলাটে’ হিসেবে উল্লেখ করছেন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ডা. জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্টের আসন বণ্টন নিয়ে মতানৈক্য কিছু নেই। মূলত যেটা হয়েছে, বিএনপিরও পুরনো প্রার্থী রয়েছে। যখন জোট হয়, তখন কিছু টানাপোড়েন পড়ে- এগুলো কমন। আসন বণ্টন নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আমাদের যেমন প্রার্থী রয়েছে, বিএনপিরও এক আসনে নির্বাচন করার মতো দু-তিনজন প্রার্থী রয়েছেন। এর চেয়ে বেশি কিছু নয়।’
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘পিঠা ভাগ করতে গেলেও টানাটানি করতে হয়। এ কাজ একটা চ্যালেঞ্জ। আমি নিজেও ভাবতে পারিনি, আমাদের এ জোট এত দ্রুত গঠন করা যাবে। আপনারা অবশ্যই বোঝেন যে, যে কোনো জায়গায়, যে কোনো সমাজে কিছু কাড়াকাড়ি বিধিনিষেধ থাকে। ভাগ করা মানে কী? কেউ পাবে, তো কেউ পাবে না।’