Bangladesh
OikyoFront is no more powerful now
ফ্রন্টের মিত্র ২০ দলীয় জোটের ছিলেন মাত্র তিনজন। এর বাইরে বাম জোটের কেউই আসেননি। সব মিলিয়ে ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানি কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ধানের শীষের শতাধিক প্রার্থী।
কর্মসূচিতে যারাও এসেছিলেন তাদের মধ্যে কেউ কেউ ঐক্যফ্রন্টের নীতিনির্ধারকদের দাঁড় করিয়েছেন কাঠগড়ায়। নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের ব্যর্থতা নিয়ে কুমিল্লা-১০ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী ও বিএনপিপ্রধানের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, ‘৫২ বছর ধরে রাজনীতি করছি, কখনও জেল খাটিনি। এ নির্বাচনের সময় প্রথম জেল খাটতে হয়েছে। সদ্য জেল থেকে বের হয়েছি। দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা থেকে বলতে চাই, আমাদের প্রতি জনসমর্থন ছিল শতভাগ। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতারা কিছুই করতে পারেননি। কেন পারেননি- তা জানা দরকার।’
তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নেতাদের ব্যর্থতার জন্য আরেকটি গণশুনানি বা সমাবেশ দরকার। আমি মহাসচিব মির্জা ফখরুল, ড. কামাল হোসেন, মাহমুদুর রহমান মান্না, আ স ম আবদুর রব, মোস্তফা মোহসীন মন্টুর কাছে জানতে চাই, কেন পারলাম না কিছু করতে? এ বিষয়ে জবাবদিহিতা দরকার বলে মনে করি। কেন্দ্রীয় নেতারা কেন পারলেন না- তা জানার জন্য একটি সমাবেশ দরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির যুগ্ম মহাসচিবরা যদি খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সমাবেশ চান, যারা প্রোগ্রাম দেবেন তারাও যদি বলেন প্রোগ্রাম দেন, তাহলে প্রোগ্রাম দেবেন কে? বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া যদি কিছুই করা সম্ভব না হয়, তাহলে আর কিছু না করে খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যবস্থা করুন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, লে. জে. (অব) মাহবুবুর রহমানদের দেখা যায়নি ঐক্যফ্রন্টের কর্মসূচিতে। গণশুনানিতে না থাকার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমি একটা বিয়েতে ব্যস্ত আছি।’
তবে দলের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজয়ের পর ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে বিএনপি নেতাদের আগ্রহ কমেছে। নির্বাচনের দুই মাস হতে চললেও জোটের পক্ষ থেকে কাঙ্ক্ষিত কর্মসূচি না থাকায় অনেকেই ঐক্যফ্রন্টকে এড়িয়ে চলছেন। এছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির অধিকাংশ নেতার মতের বাইরে গিয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করায় তারা রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়েছেন।