Bangladesh
One killed during clash in Tangi
এতে উভয়পক্ষের অন্তত তিন শতাধিক মুসল্লি আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, টঙ্গী, গাজীপুরসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
নিহত ইসমাইল ম-ল মুন্সীগঞ্জের মিলিয়াপাড়া গ্রামের খলিল ম-লের ছেলে ও মাওলানা সাদ গ্রুপের অনুসারী। টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন জানান, নিহতের মাথা ও শরীরে ধারাল অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। তিনি ইজতেমা ময়দানেই প্রতিপক্ষের হামলায় মারা গেছেন।
ইজতেমা সূত্র এবং স্থানীয়রা জানান, টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদ- এই দুই পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়ে মুসল্লিরা। জোড় ইজতেমা উপলক্ষে মাওলানা জুবায়ের পক্ষের মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে আগে থেকেই অবস্থান নিয়েছিল।
শনিবার (১ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই সাদপক্ষের অনুসারীরা ইজতেমা ময়দান এলাকায় আসতে শুরু করে এবং ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মুসল্লিদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সাদপক্ষের মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠের চারপাশ এবং সংলগ্ন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে পশ্চিম লেনে অবস্থান নেয়। এতে ওই লেনে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিু হয়। একপর্যায়ে দুপুরের দিকে সাদপক্ষের মুসল্লিরা লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে জুবায়ের পক্ষের মুসল্লিদের ওপর হামলা চালায়।
সংঘর্ষেও ঘটনায় প্রায় ৩৫ মুসল্লি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ভর্তি রাখা হয়েছে। তারা হলেন, বেলাল হোসেন (৫৫) ও অজ্ঞাত পরিচয়ের (৪৫) এক ব্যাক্তি।