Bangladesh

Owner of 25 crore house is a van driver

Owner of 25 crore house is a van driver

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 02 Jun 2019, 08:17 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, জুন ২ : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক কারবারি ও ইয়াবা ডন হিসেবে পরিচিত কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার নুরুল হক ভুট্টোর পরিবারের দুটি বিলাসবহুল বাড়ি জব্দ করেছে পুলিশ।

ইয়াবা ব্যবসার টাকায় গড়ে ওঠা এসব রাজকীয় বাড়ি ও বাড়ির মালামাল আদালতের নির্দেশে জব্দ করা হয়। এখন থেকে এসব বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ করবে পুলিশ। জব্দ করা দুটি বাড়ির মূল্য ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকার বেশি বলে জানিয়েছে পুলিশ। শনিবার সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এসব বাড়ি ও বাড়ির মালামাল জব্দে অভিযান চালায় পুলিশ।


জব্দকৃত এসব বাড়ির মালিক হলেন- টেকনাফ সদরের নাজিরপাড়ার এজাহার মিয়া (৭০), তার দুই ছেলে নুরুল হক ভুট্টো (৩২) ও নূর মোহাম্মদ ওরফে মংগ্রী (৩৫)।

 

এদের মধ্যে নুরুল হক ভুট্টো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক কারবারির তালিকায় রয়েছেন। তবে দুই মাস আগে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন ভুট্টোর ভাই নূর মোহাম্মদ ওরফে মংগ্রী।


স্থানীয় সূত্র জানায়, টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের ওসি প্রদীপ কুমার দাশের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল টেকনাফের নাজিরপাড়া এলাকায় অবস্থিত নুরুল হক ভুট্টোর পরিবারের দুটি বিলাসবহুল বাড়িতে অভিযান চালায়। ইয়াবার টাকায় এসব বাড়ি বানানো হয়েছে। অভিযানের সময় বাড়ি দুটির মালামালসহ সব কিছু নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ। এ সময় বাড়িতে থাকা লোকজনকে বের করে দেয়া হয়।


ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, আদালতের নির্দেশে শনিবার সকালে তিন ইয়াবা কারবারির বিলাসবহুল দুটি বাড়িসহ সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। এই বাড়িগুলো এখন পুলিশের হেফাজতে থাকবে। আদালতের নির্দেশে পরবর্তীতে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে। যাদের বাড়ি ও মালামাল জব্দ করা হয়েছে তারা একসময় ভ্যানচালক ছিলেন। বর্তমানে তারা কোটি কোটি টাকার মালিক। ইয়াবার টাকায় রাতারাতি কোটিপতি হয়েছেন তারা সবাই। গড়েছেন সম্পদের পাহাড়।

তিনি বলেন, কক্সবাজার সীমান্তে অনেক লবণ চাষি, দিনমজুর, রিকশা ও ভ্যানচালক ইয়াবা বেচাকেনা করে টেকনাফে রাজকীয় বাড়ি বানিয়েছেন। সারাদেশে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হলে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় তালিকাভুক্ত এসব ইয়াবা কারবারি। এর মধ্যে অনেকেই গ্রেফতার ও বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। ইয়াবার টাকায় যারা অবৈধ সম্পদের মালিক বনে গেছেন পর্যায়ক্রমে তাদের একই পরিণতি হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।