Bangladesh

সকল দেশের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার প্রয়াশ করছে হাসিনা সরকার

সকল দেশের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার প্রয়াশ করছে হাসিনা সরকার

| | 14 Sep 2016, 11:28 am
ঢাকা, সেপ্টেম্বর ১৪- বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকার শুধু মাত্র নিজের দেশের উন্নতির পেছনেই সময় দেয়নি, তারপাশে দেশের সাথে অন্যদের সম্পর্ক মধুর করবার লক্ষ্যেও এগিয়ে এসেছে।

আর এই বিষয়, বাংলাদেশ সরকারকে বোঝাতে হচ্ছে না।

 

উল্টে পৃথিবীর বহু দেশ আজ শেখ হাসিনার সরকারকে প্রশংসার পাশে স্বীকার করে নিয়েছেন তাদের সাথে আজ সম্পর্ক বেশ ভালো।

 

কিছুদিন আগে বাংলাদেশের মাটিতে প্রথমবার পা রেখেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি।

 

সফরে এই দেশের বহু নেতার সাথে সাক্ষাৎ করেন উনি।

 

তবে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করে উনি সেই অভিজ্ঞতাকে 'আনন্দদায়ক' বলে মন্তব্য করেছেন।

 

নিজের টুইটার পেজে লেখেন, "বাংলাদেশের একটি অসাধারণ উন্নয়ন গল্প আছে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে পেরে আনন্দিত।"

 

উনি জানিয়েছেন বাংলাদেশের জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাশে থাকবে।

 

"নিরাপত্তা বিষয়ক ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের সমর্থন থাকবে," উনি বলেন।

 

- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নপূর্ণ করতে ওনার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের দৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, মন্তব্য করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি।

 

বাংলাদেশে আসার পরে, কেরি আজ ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর দেখেতে যান।

 

উনি জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

 

জাদুঘরের দর্শনার্থী বইয়ে কেরি লিখেছেনঃ "বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের পথে তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে।"

 

উনি আরও লেখেনঃ "যুক্তরাষ্ট্র এই দেশের বন্ধু হতে পেতে গর্বিত। আমরা তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণে দৃঢ় সমর্থক। আমরা শান্তি ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যেতে একসঙ্গে কাজ করতে চাই।"

 

শুধু কেরি কেন? বাংলাদেশের পাশের রাজ্য ভারতও এগিয়ে এসেছে হাসিনার প্রশংশা করতে।

 

দেশে মাটিতে গুলশানের মত জঙ্গি হালার ছায়ায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেছেন যে উনি যেন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিজেকে একা না ভাবেন।

 

একটি ভিডিও কনফারেন্সের সময়, হাসিনার প্রশংসা করে, মোদী বলেনঃ "আপনার নেতৃত্ব পুরো অঞ্চলের জন্য একটি উদাহরণস্বরূপ।"

 

মোদী বলেন ভারত ও বাংলাদেশের বিকাশের পথও একসঙ্গে জড়িত আছে।

 

শুধু মোদী নয়, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা কিছুদিন আগে আগরতলাতে এসে সাংবাদিকদের বলেনঃ "বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক এখন একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।"

 

উনি হাসিনা ও ওনার সরকারের প্রশংসা করে বলেনঃ "বাংলাদেশে একটি দায়িত্বশীল সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীনে কাজ করে চলেছে।"

 

"তারা  আমাদের দেশের সঙ্গে একটি খুব বন্ধুসুলভ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চান," উনি বলেন।

 

তবে দেশগুলির সাথে সম্পর্ক স্থাপনের পাশাপাশি, আর্থিক উন্নতিও করে চলেছে বাংলাদেশ।

 

এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ ও তাঁর প্রমাণ এখন শক্তিশালী প্রথমদিকের দেশগুলিও মেনে নিয়েছেন।

 

এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের এক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি বলে গেছেন যে বাংলাদেশ খুব শিগগিরি বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির ৩০টি দেশের তালিকায় স্থান করে নিতে পারে।

 

আর ওনার মতে এই স্থানে পৌঁছাতে বাংলাদেশকে হয়তো আর ২০৩০ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

 

দেশের মানুষকে এক নতুন আশা দিয়ে, এই কথাটি বলেছেন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অব পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অব সাউথ এবং সেন্ট্রাল এশিয়া অ্যাঞ্জেলা অ্যাগিলার।

 

ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে এই কথাগুলি বলেছেন উনি।

 

উনি বলেছেন বাংলাদেশ এই স্থানটি অর্জন করবার জন্য সঠিক পথেই এগোচ্ছে।

 

উনি বলেছেন এশিয়ার এক দেশটি গত কিছু বছরে প্রায় ১ কোটি মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়েছে।

 

তবে এই পদক্ষেপে ইউএস এইড সংস্থাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা নিয়েছেন, বলে উনি মনে করেন।

 

আর এই উন্নতির পথে বাংলাদেশ সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অক্লান্ত কাজ করে চলেছে।

 

হাসিনা বার বার দেশের মানুষকে মনে করিয়ে দিয়েছেন যে ওনার সরকার সবার সেবা ও উন্নতি করবার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন।

 

এই পথ ধরেই, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন কিছুদিনা আগে যে দেশের সাধারণ মূল্যস্ফীতি চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় মাসে কমেছে।


বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সদ্য প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে যে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের অগাস্টে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি  দাঁড়িয়েছিল ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশে।

 

গত বছর এই সময় এই সংখ্যা ছিল ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ।