Bangladesh

Pakistan and 21she February

Pakistan and 21she February

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 21 Feb 2019, 12:56 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২২: যে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ভাষার লড়াই করতে গিয়ে আত্মাহুতি দিয়েছিল বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা, সেই পাকিস্তানেও পালিত হচ্ছে একুশে ফেব্রুয়ারির দিনটি। মাতৃভাষার দাবিকে লড়াইয়ের উপজীব্য করেই বাংলাদেশের মানুষ (তখনকার পূর্ব পাকিস্তান) পাকিস্তানের শাসকশ্রেণীর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ জারি করেছিল।

সেই ধারাবাহিকতায় ৭১’র ঐতিহাসিক মুক্তির সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়। তবে বাংলাদেশ পাকিস্তানের কবল থেকে মুক্ত হলেও, সেখানে মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই শেষ হয়ে যায়নি। উর্দু প্রাধান্যের ওই রাষ্ট্রে এখনও মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠায় চলছে ভিন্ন ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর লড়াই। বাংলাদেশের ভাষা শহীদ দিবস আন্তর্জাতিক মর্যাদা পাবার পর থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মতোই পাকিস্তানেও দিনটি পলিত হয় স্থানীয় সরকারসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও সেখানে একুশের উত্তাপ লাগতে দেখা গেছে।


পাকিস্তানের অন্যান্য এলাকার চেয়ে খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় ভাষাগণ বৈচিত্র্য বেশি। ডন পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২১  ফেব্রুয়ারি) পাখতুনখোয়ায় আলাদা আলাদা সংগঠনের পক্ষ থেকে বেশ কিছু আয়োজন করা হয়েছে। এদিকে চারটি আদিবাসী ভাষাকে জাতীয় মর্যাদা দিতে খুব শিগগিরই সেদেশের পার্লামেন্টে প্রস্তাব আনা হচ্ছে। সিনেটর সাসুই পালিজো বুধবার (২০  ফেব্রুয়ারি) ডনকে জানিয়েছেন, সিন্ধি, পাঞ্জাবি, বালুচি ও পশতু ভাষাকে জাতীয় ভাষার মর্যাদা দিতে জোরেসোরে প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবসকে সামনে রেখে ২০  ফেব্রুয়ারি মাকলিতে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি জানিয়েছেন, এরইমধ্যে সিনেটের সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটিতে খসড়া প্রস্তাবটি অনুমোদন পেয়েছে।


পাকিস্তান টুডের খবরে বলা হয়েছে, ভাষা ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্য এবং বহুভাষার তাৎপর্য তুলে ধরার মধ্য দিয়ে সে দেশে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী সরদার উসমান খান বাজদার বলেছেন, মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষার বিধান থাকলে তা ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে’। এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বেলুচিন্তানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের প্রসঙ্গ। বেলুচিস্তানের গভর্নর আমানুল্লাহ ইয়াসিনজাই বুধবার (২০  ফেব্রুয়ারি) বলেছেন, মাতৃভাষায় শিক্ষা অর্জনের অধিকার সবারই আছে। তিনি মনে করেন, স্থানীয় কথ্য ভাষায় শিক্ষা দেওয়া হলে তা শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।


বিশেষজ্ঞ তথ্যের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম ডন, পাকিস্তানে প্রায় ৭০টি ভিন্ন ভিন্ন ভাষা রয়েছে। এর মধ্যে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় অংশের মানুষ প্রায় ৩০টি ভাষায় কথা বলে।