Bangladesh
Parliament decides to remove Ranga
একজন সাবেক মন্ত্রী ও এমপি হিসেবে রাঙ্গার বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে তাকে সংসদে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান সরকারি দলের সদস্যরা। তবে বিরোধীদলীয় সদস্যরা রাঙ্গার বক্তব্যকে তার নিজস্ব মতামত হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, রাঙ্গার বক্তব্যের দায় নেবে না জাতীয় পার্টি। তবে এজন্য পার্টি লজ্জিত। মঙ্গলবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের এক অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা একথা বলেন।
আলোচনায় অংশ নেন আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সুলুান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, নজিবুল বশর মাইজ ভা-ারী, জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশিদ, মুজিবুল হক চুন্নু প্রমুখ।
এ সময় সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এবং বিরোধী দলের উপনেতা সংসদে উপস্থিত ছিলেন। পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে নূর হোসেনকে নিয়ে রাঙ্গার কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার বিষয়টি সংসদে তোলেন আওয়ামী লীগের দলীয় সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী। এ সময় রাঙ্গা অনুপস্থিত ছিলেন অধিবেশনে।
আমির হোসেন আমু বলেন, রাঙ্গার এ বক্তব্য দিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন। এরশাদ সাহেবের কুকীর্তি ঢাকার জন্য তিনি একথা বলেছেন। এখন বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হোক। তাকেও ক্ষমা চাইতে হবে। রাঙ্গা অর্বাচীন চিফ হুইপ। নিঃশর্তভাবে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে, ক্ষমা চাইতে হবে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, রাঙ্গার বক্তব্য বাংলার মানুষের হৃদয়ে ব্যথা দিয়েছে। তিনি তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে বক্তব্য দিয়েছেন। তার বক্তব্যের ঘৃণা প্রকাশ করছি। তার বক্তব্য জাতি ঘৃণা করেছে। রাঙ্গা খারাপ বক্তব্য দিয়েছেন। এটা কুৎসিু বক্তৃতা। একজন সুস্থ মানুষ হলে, স্বাভাবিক থাকলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে এমন সমালোচনা করতো না। রাঙ্গার বক্তব্যে সারাদেশে বিক্ষোভ চলছে। তার জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, মত পথের ভিন্নতা থাকে। আমার স্বৈরাচারবিরোধী দিবস হিসেবে পালন করি, তারা অন্যভাবে করে। এলায়েন্স থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন রাঙ্গা। এলায়েন্স না থাকলে নির্বাচিত হতো কি না সন্দেহ।