Bangladesh

People who lost citizenship in Assam won't be sent to Bangladesh: Modi assures Sheikh Hasina

People who lost citizenship in Assam won't be sent to Bangladesh: Modi assures Sheikh Hasina

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 04 Oct 2018, 11:32 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, অক্টোবর ৫ : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই বলে আশ্বস্ত করেছেন যে আসামে জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকা (এনআরসি) থেকে বাদ পড়াদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে না। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম ভারতীয় দৈনিক দ্য হিন্দুকে মোদির কাছে থেকে পাওয়া এই আশ্বস্তের কথা জানান।

এইচ টি ইমাম বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করে বলেছেন যে, আসামের জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকাতে যাদের নাম নেই তাদেরকে আগামীতে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে না। ঢাকায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের একদল প্রতিনিধিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রভাবশালী এই রাজনৈতিক উপদেষ্টা বলেছেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলার কাছ থেকেও ঢাকা একই ধরনের আশ্বাস পেয়েছে।


প্রধানমন্ত্রীর এই রাজনৈতিক উপদেষ্টা বলেন, আসামে এনআরসি ইস্যুতে যা ঘটছে তা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের সময় বাংলাদেশের উচ্চপর্যায়ের নেতারাসহ লাখ লাখ মানুষ সে দেশে পাড়ি জমায়। এটা এখন সম্ভব নয়। চলতি বছরের ৩০ জুলাই ভারতীয় নাগরিকত্বের চূড়ান্ত খসড়া তালিকা থেকে আসামের প্রায় ৪০ লাখ মানুষের নাম বাদ দেয় রাজ্য সরকার। আসামের ন্যাশনাল রেজিস্ট্রার অব সিটিজেন (এনআরসি) কর্তৃপক্ষের তালিকা থেকে বাদ পড়ে তারা। বাংলাদেশ থেকে আসামে পাড়ি জমানো ‘অবৈধ অভিবাসীদের’ চিহ্নিত করার লক্ষ্যে ১৯৫১ সালের পর সেই সময় প্রথম নাগরিকত্বের তালিকা হালনাগাদ করে আসাম।


ওই সময় এনআরসির কর্মকর্তারা বলেন, এটি খসড়া তালিকা মাত্র। সুতরাং এখনই কাউকে গ্রেফতার অথবা নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে না। তবে সমালোচকরা বলেছেন, নাগরিকত্বের তালিকা থেকে বাদ পড়াদের অধিকাংশই প্রদেশের সংখ্যালঘু মুসিলম জনগোষ্ঠী এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত।


ভারতের আসামই একমাত্র রাজ্য যেখানকার বাসিন্দাদের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য বিভিন্ন নথিপত্র জমা দেয়ার পাশাপাশি নিবন্ধিত হতে হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরুর একদিন আগে অর্থাৎ ২৪ মার্চের পূর্বে আসামিজদের বংশধররা যে সেখানে বসবাস করতেন সেই দাবির পক্ষে কাগজপত্র জমা দিতে হয়েছে এবারের এনআরসিতে জায়গা পাওয়ার জন্য। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর যুদ্ধ শেষে জন্ম হয় স্বাধীন বাংলাদেশের।