Bangladesh
PM Hasina asks Muslim ulemah to remain united
তিনি বলেন, মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে কোনো সমস্যা সৃষ্টি হলে সংঘাতে না গিয়ে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।
বুধবার (১৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ রেজা নাফর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করলে তিনি এ আহ্বান জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী সংঘাতের কারণে মুসলিম দেশগুলোর জনগণকে ভোগান্তি পোহানোর কথা উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার দারিদ্র্য কমিয়ে ২১ শতাংশে নামিয়েছে। আগামী দিনগুলোতে আরও ৪/৫ শতাংশ কমিয়ে আনা সরকারের লক্ষ্য। তিনি বলেন. গ্রামকে কেন্দ্র করেই সরকারের উন্নয়ন নীতি পরিচালিত হচ্ছে।
বাংলাদেশে বিদ্যমান ধর্মীয় সম্প্রীতির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করে এবং ধর্মীয় উৎসবগুলোতে সবাই অংশগ্রহণ করে। এ সময় ইরানের অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং দেশটির জনগণের সাহসের প্রশংসা করেন তিনি। একই সঙ্গে নবনিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।
ধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে ইরানের প্রেসিডেন্টকে শুভেচ্ছা জানান। পাশাপাশি ১৯৯৭ ও ২০১২ সালে ইরান সফরের কথা স্মরণ করেন তিনি।
এদিকে সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের বিপুল বিজয়ের প্রশংসা করেন নবনিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত। শেখ হাসিনাকে জ্ঞানী এবং দূরদর্শী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত নাফর বলেন, আপনার প্রতি ইরানের জনগণের ভালোবাসা রয়েছে। স্বল্পন্নোত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ায় বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানান নাফর।
বাংলাদেশ এবং ইরানের মধ্য চমৎকার ধর্মীয় ও সংস্কৃতিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ধর্মীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে আমাদের সর্ম্পক দারুণ, সাংস্কৃতিক সম্পর্কও চমৎকার, রাজনৈতিক সম্পর্কও ভালো। তবে বাণিজ্য সম্পর্ক আরো বাড়ানো প্রয়োজন। আশা করছি আগামী দিনগুলো এটি আরও জোরালো হবে।
অবরোধ সত্ত্বেও ইরান এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানান রেজা নাফর। আঞ্চলিক উত্তেজনা প্রশমনে ইরান কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধবাজ দেশ নই। আমরা উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সুসম্পর্ক চাই। উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ নিলে ইরান স্বাগত জানাবে বলে জানান তিনি।